কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে যোগ না দিয়ে কলকাতায় ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের দিল্লিতে ডাক পড়ল মুকুল রায়ের। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার অমিত শাহ মুকুলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত অমিত শাহর কাছে গিয়ে রাজ্যের নির্বাচনে মুকুল রায়ের ‘গুরুত্ব’ ব্যাখ্যা করেছেন।
সেকারণেই মুকুলকে শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। দিল্লির বৈঠকে মুকুলের না থাকা নিয়ে বিজেপির রাজ্য রাজনীতিতে গত দু’দিন ধরে জলঘোলা চলছে। মুকুল কেন ফিরে এলেন, কেন তাঁর দিল্লির বাড়ির সামনে থেকে মোদী-শাহের ছবি-সহ হোর্ডিং ‘ঝড়ে উড়ে গেল’, সবই জল্পনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে।
তবে রবিবার বিষয়টিকে অনেকটা হালকা করার চেষ্টা করেছেন দলের সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেছেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে মুকুল রায় নিজের দিল্লির বাসভবন থেকে মোদী-বিজেপির হোর্ডিং সরিয়ে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ পোর্টালে ভুয়ো খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু রূঢ় বাস্তব হল যে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারিতে হোর্ডিংগুলি খুলে নেওয়া হয়েছিল।’
এদিকে, কলকাতায় ফেরার কারণ সম্পর্কে মুকুল জানিয়েছিলেন, চোখের জরুরি চিকিৎসার জন্য তাঁকে ফিরতে হচ্ছে। অথচ শনিবার তিনি নিজেই জানান, ডাক্তার দেখাবেন সোমবার। তবে শুক্রবার তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন বলেই খবর। শাহ-মুকুলের বৈঠকের আগে কোনও পদক্ষেপ করবেন কি না, সে দিকেও পর্যবেক্ষকদের নজর রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, শাহের সঙ্গে বৈঠকে মুকুল রায়কে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এমনকি, আগামী বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনেও মুকুল রায়ের উপর আস্থা রাখতে বড়সড় দায়িত্ব তৃণমূলের প্রাক্তন চাণক্যকে শাহ দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, অন্যদিকে আজ রবিবার বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন মুকুল রায়। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিতে ছিলেন, আছেন এবং আগামিদিনেও থাকবেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্পষ্ট করে এদিন বলেন, আমার সঙ্গে বিজেপির কারও কোনও বিরোধ নেই। এমনকি দলের কোনও সংঘাত নেই। আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার চলছে। কারা এটা করছে তদন্ত করে দেখার কথাও বলেছেন মুকুল।
একই সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি যে একশো শতাংশ সন্তুষ্ট, তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন মুকুল। তিনি জানিয়েছেন, আমার কাছে দলের সংগঠনই বড় কথা। আমি দলের সংগঠনটাই করব। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আগে যেমন যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল, সেরকমই আছে।
Be the first to comment