করোনা আতঙ্কের মধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের কর্মীদের কিছুটা হলেও সাহস জোগাচ্ছেন নতুন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। পুলিশ সুপার হিসাবে প্রথম পোস্টিং পাওয়া এই তরুণ আইপিএস অফিসার হওয়ার পাশাপাশি একজন এমবিবিএস ডাক্তার। ফলে নতুন ডাক্তার এসপির নেতৃত্ব জেলা পুলিশের কর্মীদের মনোবল বাড়াচ্ছে।
জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে। এর ফলে আমাদের এবং পরিবারের লোকদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। লকডাউনের শুরু থেকেই ডাক্তারবাবুরা যা বলছেন তাই করে চলেছি।
জলপাইগুড়ি জেলায় দশটি থানা এবং ফাঁড়ি সহ রিজার্ভ বাহিনী মিলে প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মী রয়েছেন পুলিশ সুপারের নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ইউপিএসসির সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করার আগে ২০১০ সালে রাজস্থানের জয়পুরের সোয়াই মান সিং মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন এই তরুণ পুলিশ অফিসার। তারপর স্টেথো ছেড়ে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া এবং ২০১৫ সাল থেকে বেঙ্গল ক্যাডারের আইপিএস অফিসার হিসাবে কাজ শুরু তাঁর। মাঝেমধ্যে ফাঁক পেলে ডাক্তারিও ঝালিয়ে নেন। সেই সূত্রে পুলিশের খাকি উর্দির পাশাপাশি স্টেথোও তাঁর সঙ্গী।
যাঁকে ঘিরে জেলার পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়ছে তিনি কিন্তু একেবারে চিকিৎসকসুলভ দৃষ্টিতেই দেখছেন করোনা পরিস্থিতিকে। জেলার নতুন পুলিশ সুপার বলেন, যে কোনও রকম পরিস্থিতিতে পুলিশকে তার কাজ করতেই হবে নিষ্ঠার সঙ্গে। তবে তাঁরাও মানুষ। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে। তবে আমাদের আশঙ্কার বদলে আশাবাদী হতে হবে। ভয়ের বদলে সচেতন হতে হবে।
Be the first to comment