কংগ্রেস বিধায়কদের সরানো হচ্ছে জয়সলমেরে; বললেন গেহলট

Spread the love

কয়েকদিন পরই রাজস্থানে বিধানসভা অধিবেশন। অধিবেশনে হতে পারে আস্থা ভোট। অন্তত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল এই অনুমান করছে ৷ দলের অভ্যন্তরে গেহল শিবির কতটা শক্তিশালী তা আরও একবার প্রমাণ করতে চাইবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। এইদিকে অধিবেশন শুরুর আগে আজ প্রায় ১০০ জন কংগ্রেস বিধায়ককে বিশেষ বিমানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জয়সলমেরে কারণ গেহলতের অভিযোগ, বিধায়ক কেনার দর বাড়ছে ৷

অশোক গেহলটের বিরোধিতা করেছিল পাইলট শিবির। সেই সময় থেকেই প্রায় ১০০ জন বিধায়ককে জয়পুরের একটি হোটেলে রাখা হয়। আজ তাঁদের আবার জয়সলমের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে একটি হোটেলে রাখা হবে তাঁদের। বিধানসভা শুরুর আগে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত বিধায়কদের জয়সলমেরেই রাখা হবে।

রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছিলেন গেহলট। বারবার সেই আবেদন খারিজ হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশনে অনুমোদন দেন রাজ্যপাল। শোনা যাচ্ছে, আস্থাভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গেহলত । যদিও গেহলত বা রাজস্থান কংগ্রেসের তরফে বিষয়টি সরাসরি জানানো হয়নি। তবে এই কৌশল রাজনৈতিক মহলে নতুন নয়। দলের অভ্যন্তরে নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য বারবার আস্থাভোটেই ভরসা রাখা হয়েছে।

প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগ করছেন গেহলট। এমনকী সচিন পাইলট ও তাঁর শিবিরের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদতের অভিযোগও করেছেন তিনি। সেই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সচিন পাইলট। কিন্তু সেইসব আশঙ্কা উড়িয়ে সচিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। কিন্তু নিজের অভিযোগে অনড় গেহলট।

বিজেপির সঙ্গে মিলে সচিন শিবির বিধায়ক কেনাবেচার ষড়যন্ত্র করছে বলে আবার অভিযোগ করেন তিনি। এইবার তাঁর অভিযোগ সুর আরও চড়া। অশোক গেহলট বলেন, বিধানসভা অধিবেশন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিধায়কদের দাম বেড়েছে। প্রথমে ১০ কোটির কিস্তি ধার্য হয়, পরে তা হয় ১৫ কোটি। এখন তা সীমাহীন হয়েছে। আর সবাই ভালো করে জানে কে বিধায়ক কেনা-বেচা করছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী গেহলট। তাঁর বিশ্বাস, আস্থাভোটে তিনিই জিতবেন। তাঁর পক্ষেই রয়েছেন বেশি সংখ্যক বিধায়ক। বিধানসভার ২০০ জন সদস্যের মধ্যে ১০১ জন তাঁর পক্ষে।

এদিকে বিরোধী শিবির জানাচ্ছে অন্ততপক্ষে ৩০ জন বিধায়ক তাঁদের পক্ষে। যদিও সচিন পাইলট সহ ১৮ জন বিধায়ক প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু বিধানসভা অধিবেশনে কি অংশ নেবেন বিরোধী বিধায়করা, সেই প্রশ্নও উঠেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, অবশ্যই আমরা অংশ নেব।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*