আজ হ্যাকাথনের ফাইনালিস্টদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে দেশের যুবসমাজ ও নয়া শিক্ষানীতির বিষয় নিয়ে কথা বললেন তিনি ৷
তাঁর মতে, দেশের সমস্যাগুলির উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল সমাধান করতে পারে যুবসমাজ ৷ একটু সাহায্য পেলেই ছাত্রছাত্রীরা অনেক দূর এগোতে পারে ৷ সঙ্গে দেশের অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ৷ কোরোনা আবহের মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে যুবসমাজ ৷ এই স্বাস্থ্য সংকট শেষ হলে বিশ্বের দরবারে ভারত এক উন্নত জায়গায় থাকবে ৷
এই নয়া শিক্ষানীতি দেশকে বিশ্বের দরবারে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, আমাদের এই নয়া শিক্ষানীতি ২০৩৫ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার ৫০ শতাংশ বাড়বে ৷ এই নীতি চাকরিপ্রার্থীর বদলে নতুন নতুন চাকরির সুযোগ বাড়াবে ৷
আঞ্চলিক ও স্থানীয় ভাষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এই শিক্ষানীতিতে ৷ মোদী বলেন, আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীদের ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি শেখা উচিত ৷ একটি কোর্সের মধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বিষয় পছন্দ করার অনুমতির খুবই প্রয়োজন ছিল ৷ নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দ মতো যে কোনও বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবে ৷ আমাদের স্থানীয় ভাষাগুলিকে তাদের হালের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। নয়া শিক্ষানীতি এর উপর গুরুত্ব দেবে ৷ এই ভাষাগুলির বিস্তার বাড়াবে ৷ বিশ্বে সমৃদ্ধ ভাষাগুলি দিয়ে ভারতের পরিচয় হবে ৷ ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ভাষাতে পড়াশোনা করতে পারবে ৷ সহজ হবে ৷
ছাত্রছাত্রীদের শেখা, প্রশ্ন করা ও সমস্যার সমাধান করার মতো এই তিন বিষয়ে যেন কখনও কোনও খামতি না থাকে ৷ আগে পছন্দ না থাকলেও এমন অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে বাধ্য হত ছাত্রছাত্রীরা ৷ এর ফলে ডিগ্রি থাকলেও তারা সন্তুষ্ট হত না ৷ নতুন এই শিক্ষানীতি পড়াশোনার এই ধরনকেই পালটাবে ৷ ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দ মতো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে ৷
মোদী আরও বলেন, আজও অনেক ছাত্রছাত্রীর মনে হয়, তাদের এমন বিষয় নিয়ে তুলনা করা হয়, যেগুলি নিয়ে তাদের কোনও কৌতুহল থাকে না ৷ বাধ্য হয়ে অন্যদের বেছে দেওয়া বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় ৷ কিন্তু, সেগুলি পড়লেও তাদের কাজে আসে না ৷ ডিগ্রি থাকলেও খামতি থেকে যায় ৷ তাদের যে আত্মবিশ্বাস থাকার কথা, সেটাও থাকে না ৷ আর এর প্রভাব পড়ে তাদের জীবনের উপর ৷ একবিংশ শতাব্দী জ্ঞানের যুগ ৷ একটা বিষয় কখনও একজনকে বিচার করতে পারে না ৷
আজ নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে উঠে আসে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, আর্যভট্ট, হেলেন কেলার ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ৷ নমো বলেন, অঙ্ক ও সংগীত, কোডিং ও রসায়ন যে কোনও বিষয় নিয়ে একসঙ্গে পড়তে পারবে ছাত্রছাত্রীরা ৷ পাশাপাশি, বিশ্বের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে দেশে ক্যাম্পাস খোলার আহ্বানও করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ বলেন, বিশ্বের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি দেশে তাদের ক্যাম্পাস খুলুক ৷ ভারতে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা প্রদান করবে এই শিক্ষানীতি ৷
Be the first to comment