করোনার ভ্রূকুটি তো ছিলই। তা সত্বেও শনিবার, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রথম শতবর্ষের পুর্তি অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হল উৎসাহ এবং আবেগের মধ্য দিয়ে। যাকে সম্বল করে লাল হলুদ পেরিয়ে এল একশো বছর। এদিন ক্লাবের ১০০ বছর উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল-হলুদ ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর ক্লাবের শতবর্ষে পদার্পণ দিয়ে শুরু হয়েছিল শতবর্ষ উৎসবের সূচনা। ঠিক ছিল ২০২০ সালে্র এই দিনটিতেই হবে জাঁকজমকপুর্ণ অনুষ্ঠান। কিন্তু করোনার জন্য সব পরিকল্পনা মাটি। কিন্তু সমর্থকদের উৎসাহ আটকাবে কে? তাই প্রতিকূল আবহাওয়াকে থোরাই কেয়ার করে শনিবার সকালেই ক্লাবে হাজির অন্তত হাজারখানেক সভ্য সমর্থক। প্রথাগত অনুষ্ঠানের মধ্যেই উঠে এল আই এস এল খেলার কথাও। সেখানে সুভাষ ভৌমিক বলে দিলেন, ইস্টবেঙ্গল আই এস এল-এর পিছনে ছুটবে না। আইএসএল অপেক্ষা করবে ইস্ট বেঙ্গলের জন্য।
আর এ সবের মধ্যেই শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার শোনালেন সুখবর। আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে আই এস এল কতৃপক্ষ মৌখিকভাবে আরও কিছু দিন সময় দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এবং ইতিবাচক থাকছি।
সকাল দশটায় সময় ছিল অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হয়েছে তার অনেক আগেই। ততক্ষণে ক্লাব তাঁবুর সামনে গাড়ি, বাইকের ভিড়। উদ্বোধক অরূপ বিশ্বাস এলেন সওয়া দশটায়। তখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। কর্তারা ঠিক করলেন বৃষ্টি কমলে ক্লাব লনে পতাকা উত্তোলন করে শুরু হবে অনুষ্ঠান। কিন্তু পৌনে এগারোটাতেও বৃষ্টি না কমায় সাবেক তাঁবুতে শতবর্ষের শত প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হল শতবর্ষপুর্তি উৎসব। প্রদীপ জ্বালালেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে সুভাষ ভৌমিক, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাষ্কর গঙ্গোপাধ্যায়, সুসাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী এবং ক্লাব কর্তারা।
এরপর মূল অনুষ্ঠান হলো হল ঘরে। সেখানে মঞ্চে ওঁদের সঙ্গে সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত, সচিব কল্যাণ মজুমদার, সহসচিব ডাঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, দেবব্রত সরকাররা। সংযোজনা করছিলেন সহসভাপতি রূপক সাহা। কল্যাণ মজুমদারের স্বাগত ভাষণের পর একে একে বক্তব্য রাখলেন সবাই। এরই মধ্যে হল শতবর্ষের স্মারক গ্রন্থের আবরণ উন্মোচন। করলেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। ক্লাবের সঙ্গে নিজেদের স্মৃতি ভাগ করে নিলেন ভাষ্কর গাঙ্গুলি, তরুণ দে, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যরা। আসিয়ান কাপজয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিকের কথায় উঠে এল আসিয়ান জয়ের কথা। এরপর ক্লাবের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা দিয়ে শেষ হলো ঘরের অনুষ্ঠান।
Be the first to comment