রাজনৈতিক হিংসা থেকে আমফান দুর্নীতি একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আর রবিবার ফের টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। সেখানে তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন। তথ্য জানার জন্য আবেদন করলে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। এই অভিযোগেই রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।
এদিন তিনি তিনটি টুইট করেন। বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য গোপন করে দুর্নীতিকে জন্ম দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। প্রথম টুইটে তিনি রাজ্যপালের অধিকার ও কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আইন ও গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি টুইটে লেখেন, রাজনৈতিক হিংসা, শিল্প সম্মেলনে দুর্নীতি, রেশন ব্যবস্থা, আমফানের ত্রাণ বিলিতে অনিয়ম সহ বিবিধ বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া রাজ্যপালের অধিকার ও কর্তব্য। সেই তথ্য পাওয়া যায় না। শাসক দলের অবস্থান হল, রাজ্যপাল রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। আমার প্রশ্ন, এটা কি আইনের শাসন বা গণতন্ত্র?
এরপর আর একটি টুইট করে তিনি সরকারের কাছে তথ্য গোপনের কারণ জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি, যারা তথ্য দিচ্ছে না তাদের চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। লেখেন, তথ্য দেওয়া হয় না কেন? এত লুকানোর কী আছে? সরকার তার ব্যাখ্যা দিক। যারা তথ্য দিচ্ছে না, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চিহ্নিত করুন। এই অস্পষ্টতা দুর্নীতির জন্ম দেবে। বাক্সের ভিতর কঙ্কালের সংখ্যা আরও বাড়বে।
রাজ্যপালের আরও দাবি, তথ্য গোপন বা তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারটি সরকারের করুণ অবস্থার পরিচয় দেয়। শেষ টুইটে তিনি লেখেন, রাজ্যপালকে তথ্য না দেওয়ার ব্যর্থতা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে তথ্যের অধিকারের করুণ অবস্থার পরিচায়ক। মুখ্য তথ্য কমিশনারকে ডেকে আগেই সতর্ক করেছি। তথ্য চেয়ে আবেদন করলেই এই রাজ্যে বাড়িতে পুলিশ যায়। ভয় দেখানো হয়। তাই এত কম আবেদন জমা হয়। দুর্নীতি রোধে তথ্য প্রকাশ সবচেয়ে জরুরি।
Be the first to comment