৩৪ বছরের পুরোনো শিক্ষা পদ্ধতিতে অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে নতুন শিক্ষানীতি । নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্য সম্পূর্ণ আলাদা। পুরোনো শিক্ষা পদ্ধতি ছিল, ”কী ভাববে” । আর নতুন শিক্ষানীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ”কীভাবে ভাববে”- এই নীতি । নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) আয়োজিত একটি সম্মেলনে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
তিনি বলেন, “পুরোনো শিক্ষাপদ্ধতি সবসময় কী ভাববে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখত । তবে নতুন শিক্ষানীতিতে কীভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । অনেকটাই পার্থক্য ।”
গত ২৯ জুলাই নতুন শিক্ষানীতিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্য হল উচ্চশিক্ষায় পরিবর্তন আনা। নতুন শিক্ষানীতিতে পরিবর্তন আনার পর এই বিষয় নিয়ে আজ প্রথম কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা মতামত আসছে । সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে তাঁদের চিন্তা-ভাবনা ব্যক্ত করছেন। এই শিক্ষানীতিকে সকলেই স্বাগত জানিয়েছে। আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে যে, কেউ বলছেন না যে এই শিক্ষানীতি পক্ষপাতদুষ্ট ৷ এটাই সবথেকে ভালো বিষয়। এখন কীভাবে এটি বাস্তবায়িত করা হবে সেদিকেই সকলের নজর রয়েছে।
নতুন শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছাত্ররা মাতৃভাষাতেই পড়াশোনা করতে পারবে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন ছাত্ররা নিজেদের মাতৃভাষায় পড়াশোনা করবে তখন তারা বিষয়টা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে। সুতরাং ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত মাতৃভাষায় পড়াশোনা করলে সুবিধে হবে। আর একবার বিষয়টি বুঝে গেলে ভবিষ্যতের ভিত আরও শক্ত হবে ।
পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণক নতুন নীতিতে গুরুত্ব পেয়েছে ৷ যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন শিক্ষকই পড়ুয়াদের স্বপ্ন দেখাতে পারে। তাই শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই শিক্ষানীতি নিয়ে আশাপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে তৈরি করবে নতুন শিক্ষানীতি। দেশ গঠনে অন্যতম ভূমিকা নেবে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে এই নয়া শিক্ষানীতি। সকলকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটি কোনও সার্কুলার নয়। সফল করার জন্য ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। তার জন্য প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে । এই শিক্ষানীতিকে সফল করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে । সবার জন্য এটি একটি মহাযজ্ঞ। সকলের যোগদান আবশ্যক।
Be the first to comment