করোনা সংক্রমণের চোখ মধ্যেই শুক্রবার প্রকাশিত হল রাজ্যে জয়েন্টের ফলাফল। তবে রাজ্যের জয়েন্টের মেধাতালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, এখানে রাজ্যের জন্য তেমন উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনও খবর নেই। কারণ, এবারের মেধাতালিকায় যাঁরা স্থান করে নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিভাগই দিল্লি বোর্ডের। মাত্র একজন রাজ্যে বোর্ডের স্থান পেয়েছেন এবারের মেধা তালিকায়। এছাড়া, দু’জন রয়েছেন আইএসসি বোর্ডের পড়ুয়া। ফলে বলাই চলে, এবারের জয়েন্টের ফলাফলে জয়জয়কার হয়েছে দিল্লি বোর্ডের পড়ুয়াদের।
এবার রাজ্য জয়েন্টের যে মেধাতালিকা প্রকাশিত গয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এবার প্রথম হয়েছেন রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা, ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপিঠের ছাত্র সৌরদীপ দাস। দ্বিতীয় হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা শুভম ঘোষ।
শুভম ডিএভি মডেল স্কুল, দুর্গাপুরের ছাত্র। তৃতীয় ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন শ্রীমন্তী দে। তিনি কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা, রুবি পার্ক দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী। মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন, উৎসব বসু, সাঁতরাগাছি হাওড়ার বাসিন্দা, সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের ছাত্র। পঞ্চম স্থান পেয়েছেন পূর্নেন্দু সেন, বাঁকুড়ার বাসিন্দা, ডিএভি মডেল স্কুল, দুর্গাপুরের ছাত্র। ষষ্ঠ স্থান পেয়েছেন অঙ্কুর ভৌমিক, কলকাতার ভিআইপি রোড এলাকার বাসিন্দা, রুবি পার্ক দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র। সপ্তম স্থান পেয়েছেন সোহম সমাদ্দার, সল্টলেকের বাসিন্দা, গার্ডেন হাই স্কুলের ছাত্র। অষ্টম স্থান পেয়েছেন অরিত্র মিত্র, বেহালার বাসিন্দা, বেহালা আর্য বিদ্যমন্দিরের ছাত্র।
উল্লেখ্য, অরিত্রই একমাত্র রাজ্য বোর্ডের ছাত্র যে মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। নবম স্থান পেয়েছে গৈরিক মাসকারা, কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা, সল্টলেকের সেন্ট জোন স্কুলের ছাত্র। দশম স্থানে রয়েছেন অর্ক দত্ত, মন্দিরতলা হাওড়ার বাসিন্দা, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র তিনি। মেধাতালিকায় একমাত্র ছাত্রী হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন শ্রীমন্তী দে।
Be the first to comment