চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন পুলিশকর্মীরা। এবার তাই কোভিড যুদ্ধে পুলিশের অনন্য সাধারণ ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে পুলিশ দিবস পালনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
করোনা-যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাকে শ্রদ্ধা জানাতেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ বলে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়ছেন আমাদের পুলিশকর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কর্তব্যে অনড় পুলিশ বিভাগ। কোভিড যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাল রাজ্য সরকার।
এবছর থেকে ১ সেপ্টেম্বর দিনটি পুলিশ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। কোভিড যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাকে সম্মান জানাতেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে নতুন ২০টি বারাক তৈরি করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্বেই তৈরি করা হবে বারাকগুলি।
রাজ্য পুলিশের কর্মীদের কর্তব্য পরায়নাতায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘করোনায় ১৮ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ত্যাগকে কুর্নিশ জানাই। রাজ্যের পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে।’
এছাড়াও মহিলা পুলিশকর্মীদের পদোন্নতিতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এখন থেকে মহিলা-পুরুষ পুলিশকর্মী নির্বিশেষে পদোন্নতি হবে। এতদিন সংখ্যা বেশি থাকায় পুরুষদের পদোন্নতি তাড়াতাড়ি হলেও মহিলাদের সংখ্যা বাহিনীতে কম হওয়ায় সেই সুযোগ কম ছিল। কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত সবাইকে এক ক্যাডারের আওতায় আনা হলো।
এছাড়াও পুলিশ বিভাগের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে যেগা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ ওয়ার্কার ডেভলপমেন্ট বোর্ড তৈরির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মহিলাদের পুলিশ বিভাগে পদোন্নতির সুযোগ বাড়ানোরও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি এখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য রেশন দেবে রাজ্য। আগামী বছর জুন পর্যন্ত তাঁরাও রেশন পাবেন। আপাতত টোকেন দিয়ে রেশন পাবেন। পরে রেশন কার্ড তাঁদের দেবে সরকার।
Be the first to comment