করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ অগাস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ১০ মে হঠাৎ করেই শারীরিক দুর্বলতা নজরে আসে মন্ত্রীর। কোনওরকম দেরি না করে দ্রুত লালারসের নমুনা পাঠানো হয় প্রেক্ষার জন্য। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এরপর মন্ত্রীকে অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১২ অগাস্ট তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার মন্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে।
বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বিধায়ক স্বপন দেবনাথের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও উপসর্গ ছিল না। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা করে তাঁকে কেবিনে ভর্তি করে, বুধবার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিক বা সুগার বেশি থাকায় তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
৭ দিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার দুপুরে স্বপন দেবনাথ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় মন্ত্রী জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে তিনি সুস্থ হয়েছেন।”
এছাড়াও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার অসাধারণ। প্রতিদিন সকলেই আমাকে মানসিক শক্তি, ভরসা দিয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। মানসিক জোর রাখাটাই সবথেকে বড় ব্যাপার।’
Be the first to comment