কিটগুলো কোথা থেকে কিনেছিলে: কিট কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার

Spread the love

করোনা মোকাবিলায় সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধীদের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাপ্রশাসনগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

সেই বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ কেউ সরকার কত মাস্ক কিনেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। অনেক কিট তো ধরা পড়ল ভেজাল বলে। ধরা পড়ার পরে কিট ফিরিয়ে নিয়েছে আইসিএমআর। ধড়া যখন পড়েছিল,নিশ্চই তার পিছনে কিছু ছিল৷ কেউ যেন প্রশ্ন না করেন, পশ্চিমবঙ্গ কোথা থেকে মাস্ক কিনেছে৷ আমি প্রশ্ন করবো তোমরা কোথা থেকে কিটগুলো কিনেছিলে,যেগুলো ভেজাল ছিল৷ ’’

এছাড়া কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, এখনও কেন্দ্রের কাছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাব,পাইনি৷ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা জিএসটি বকেয়া আছে। কোভিড ,কোথায় টাকা৷ লক্ষ লক্ষ মাস্ক দিচ্ছি ৷ তাছাড়া কত কষ্ট করে বেতন দিচ্ছি৷ যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, ভেবেছেন কোথা থেকে টাকা আসছে?

সম্প্রতি করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃ্ত্ব তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্পতি বিঁধেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

কোথা থেকে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

টুইটে রাজ্যপাল লেখেন,“মমতা-সরকারের মহামারী ক্রয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ধামাচাপা দিতে হওয়া তদন্তের বিশ্বাসযাগ্যতা নেই। সিদ্ধান্তগ্রহণকারীরাই (এক জন ছাড়া) বাঁচাতে ব্যস্ত। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কাজ। কেবলমাত্র স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত অপরাধীদের ধরতে পারবে।”

আরেকটি টুইটে ধনকড় লেখেন, “কেনাকাটার কাটমানি কোথায় গেল? কে বা কারা লাভবান হলেন? সেটা খোঁজাই তদন্তের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত। করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয়ের হিসাব, কোথা থেকে কেনা হয়েছে, কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।স্বচ্ছতার অভাবেই দুর্নীতির জন্ম।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*