এবার রাস্তাঘাট নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করছেন তিনি। এদিন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। মঙ্গলবার আরও ৫ জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক। জেলাগুলি হল দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।
নবান্নে সোমবারের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পরে মেরামতি হয়েছে। তারপরেও বাঁধ ভাঙছে। তাহলে কি তাড়াহুড়োয় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি?’ ঝাড়খণ্ড থেকে ডিভিসির জল ছাড়লে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন মমতা। বলেছেন, ‘ডিভিসি জল ছাড়লে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালেও জল ঢোকার আশঙ্কা আছে।’
মমতা এদিন আরও বলেন, ‘ত্রাণের টাকা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়ে দিতে হবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে হবে।’ তাঁর দাবি, অন্যান্য সব রাজ্যে বন্যার সমস্যা খুব একটা নেই, কিন্তু বাংলায় আছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং করা হয়নি, করলে এই সমস্যা হত না বলে মনে করেন তিনি। যেসব জেলায় বন্যার সম্ভাবনা, সেখানে ঘুরে দেখার কথাও বলেন তিনি।
রাস্তাঘাটের অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বর্ষা নামতেই রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। যা নিয়ে বিরক্ত হয়েছেন মমতাও। তিনি বলেন, কোন রাস্তা খারাপ, কোথায় জল জমছে, তা দেখতে হবে। নবান্নে আসার পথে দেখলাম একটা রাস্তায় পিচ উঠে গেছে। বলতেই বলা হচ্ছে, রাজ্যকে ২০০ কোটি টাকা দিতে হবে। অথচ এইচআরবিসি টোল পায়। তবু কেন মেরামতি করা হচ্ছে না?
Be the first to comment