রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নাকি ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ গতকাল দুপুরে এই খবর শোনা যায় ৷ তারপর চাউর হয়, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতেই নাকি দলের এই পদক্ষেপ ৷ আর রাতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন ৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শোভনের পুরোনো দলে ফেরার সম্ভাবনা দেখা দিতেই তড়িঘড়ি তাঁর বাড়ি যান মেনন ৷ তবে তৃণমূল বা বিজেপি দুই দলের কেউই এই নিয়ে কিছু জানায়নি ৷
সোমবার রাত ৯ টা ১৮ মিনিট নাগাদ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের বাড়িতে যান অরবিন্দ মেনন ৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয় ৷ সাড়ে ১১টা নাগাদ মেনন শোভনবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ৷
সূত্রের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানান মেনন ৷ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নাকি নিজে শোভনবাবুর সঙ্গে বসতে চান ৷ তাঁর কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেন মেনন ৷
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এর আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে শোভন চট্টোপাধ্যায় একটি ১৩ পাতার চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে শোভন জানান, তিনি বিজেপিতে আর ফিরবেন না ৷ নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে কী কী সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তা তুলে ধরেন চিঠিতে ৷
তবে রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করেছে বা তাঁকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেন ৷ রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে খবর, এই চিঠি পাওয়ার পরই শোভনের ‘মান ভাঙাতে’ গতকাল তাঁর বাড়ি যান মেনন ৷ সেই সঙ্গে জে পি নাড্ডার আলোচনায় বসার আমন্ত্রণও জানান ৷
মেননকে শোভন কী জানিয়েছেন তা নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি ৷ তবে সূত্রের দাবি, চিঠি পাওয়ার পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শোভনের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিল। কিন্তু, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আগামীকাল রাত পর্যন্ত সময় দেন শোভন।
কেউ কেউ বলছেন, রত্নাকে অব্যাহতি দেওয়ার পরপরই শোভনকে নিয়ে বিজেপির সক্রিয়তা ইঙ্গিতবহ ৷
প্রসঙ্গত, রত্নাকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর চাউর হওয়ার পর যাবতীয় জল্পনার শুরু ৷ কিন্তু, রত্না এসব নিয়ে মুখ খোলেননি ৷ তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন ৷ তাঁর কথায়, ”সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই ৷ আমি দলের তরফে কোনও নির্দেশ পাইনি ৷ নিজের মতো কাজ চালিয়ে যাব ৷”
Be the first to comment