২০১৯ সালের ভয়াবহ স্মৃতি। পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করেছে জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা এনআইএ। পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহার এবং তাঁর ভাই রউফ আসগারের নাম উঠেছে মূলচক্রীর তালিকায়।
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ৫০০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ। কিভাবে ছক কষা হয়েছিল ও সেই কাজ করা হল সেই পর্দাফাঁস করেছে। পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত হওয়া আরডিএক্স পাকিস্তান থেকেই এসেছিল সেই প্রমাণ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা পেশ করা হবে। সেই সঙ্গে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের প্রমাণও পেশ করবে এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মোবাইলে রেকর্ড করা ভিডিও, কললিস্ট-সহ বহু প্রমাণ এনআইয়ের কাছে চলে রয়েছে।
এনআইয়ের তদন্ত অনুসারে, এই হামলা পুরোটাই জইশ নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় মাসুদ আজাহার, রউফ আসগরের-সহ প্রায় ২০ জনের নামে আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হল আদিল আহমেদ দার, সাকির বসির মারগ্রে, মহম্মদ ইকবাল, বিলাল আহমেদ কুচে, ওমর ফারুক। এরা ছাড়াও লস্করের কয়েকজন স্থানীয় কর্মীর নাম থাকছে চার্জশিটে।
জানা যায়, সেনা কনভয়ে আদিল আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল। জইশের কম্যান্ডার ওমর ফারুক উপর পুরো হামলার তত্ত্বাবধানে ছিল। বিস্ফোরক পাকিস্তান থেকে আনানোর ব্যবস্থাও সেই করেছিল। কাশ্মীরেই বসবাস করত সে। ঘটনার মাসখানেক বাদে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে।
সাকির বসির মারগ্রে হামলাকারী গাড়িটির চালক। তবে ঘটনাস্থলের ঠিক ৫০০ মিটার আগে সে গাড়ি থেকে নেমে পালায়। এর বাড়িও কাশ্মীরে। চলতি বছরে গ্রেফতার হওয়া ইকবালের দায়িত্ব ছিল সীমান্ত থেকে জঙ্গিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আস্তানার ব্যবস্থা করা।
১৮ মাস অর্থাৎ দেড় বছর পরে চার্জশিট পেশ করছে এনাআইএ। এর আগে দুটি চার্জশিট পেশ হয়েছে। কয়েকজন অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছে। তবে, এই ঘটনার তদন্তে তেমন বড়সড় কোনও অগ্রগতি হয়নি।
Be the first to comment