আর্যতীর্থঃ
তোমাদের বড্ড তাড়া, চট করে আখের গোছাও
এইতো গাড়লে শিকড়, এখনই ডালপালা চাও।
জীবনের বেশী কাটে, পাতা কটা হলো গুনে
শেষে তো কাঠ হয়ে ভাই, জ্বালানি সেই উনুনে।
তার চেয়ে রোজ খেয়ে নিই, আলোহাওয়া দানাপানি
কাঠুরে আসবে যখন, কি হবে তা তো জানি।
তাই বসে গুনবো পাতা, এত বোকা নই তো আমি
কে জানে আছি কদিন, সময় যে বড্ড দামী।
পাতা তো অমনি হবে, রুটিনের দিনযাপনে
করবে কে নষ্ট সময়, বসে বসে পাতা গুনে?
জন্মেই শিকড় আমার, গিয়েছে মাটির ভেতর
এখন যে এত্ত বড়, সে তো সেই মাটির ওপর।
মাটিকে জানবো আমি, যে মাটি ভিত বানালো
আকাশও দেখবো আমি, যে আমায় আলো দিলো।
আমার এই জীবন ঘিরে, রোজ বয়ে যাচ্ছে হাওয়া
কজনের ভাগ্যে জোটে , হাওয়াকে বন্ধু পাওয়া?
রোজই তো যাচ্ছে বয়ে, ডালপালা পাতার ফাঁকে
যার সাথে রোজ দেখা হয়, কে দেয় আমল তাকে?
তোমাদের মতই আমি, পাখিদেরই কাছে ডাকি
রোজকার আকাশ মাটি, হাওয়াকে ভুলে থাকি।
পাখিরাও আসুক ডালে, লাভ বেশী বন্ধু হলে
ডানা তো আছে তাদের, আসেনি থাকবে বলে।
যারা সব কাছে থাকে, জীবনের মধ্যে মিশে
অমৃতে থাক বা না থাক, ভাগ ঠিক থাকে বিষে।
পাতা গোনা বন্ধ করে, শুনবো তাদের কথা
হাওয়া কি গল্প বলে, কি আছে মাটির ব্যথা।
তোমারও আকাশ আছে, আছে মাটি আছে হাওয়া
ডালপালা মেলার ফাঁকে, হয়নি নজর দেওয়া।
চলো না সবাই মিলে, কিছুটা সময় ছাড়ি
অন্য কাজের ফাঁকে, এটুকু তো দিতেই পারি।
কাঠুরে আসবে জানি, সে বড় শক্ত ঘাঁটি
ততদিন খেয়াল রেখো, এ আকাশ হাওয়া মাটি।
Be the first to comment