ইতিমধ্যেই মেট্রো চলাচলের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। মেট্রো চালালে রাজ্যের আপত্তি নেই বলে রেলওয়ে বোর্ডকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই অবস্থায় কলকাতার লাইফলাইন মেট্রোয় ভিড় সামলে কীভাবে পরিষেবা দেওয়া যাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে পরিকল্পনা তৈরির কাজ।
মেট্রোর হিসেব অনুযায়ী লোকাল ট্রেন যেহেতু চলছে না তাই দমদম স্টেশন থেকে যত সংখ্যক যাত্রী ওঠা নামা করে তা হয়তো এখন ওঠা নামা করবে না। কিন্তু শ্যামবাজার, এসপ্ল্যানেড, রবীন্দ্রসদন, কালীঘাট, টালিগঞ্জ থেকে যে সংখ্যক যাত্রী ওঠা নামা করবে তার জন্যে যে সংখ্যক আরপিএফ প্রয়োজন শুধু গেটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে তাও এখন নেই বলে জানা যাচ্ছে।
তবে সামাজিক দুরত্ব বিধি মেনে কীভাবে মেট্রো চলাচল করা যাবে তা নিয়ে কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নিতে শুরু করেছিল মেট্রো রেল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, টোকেন ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। সেক্ষেত্রে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড ব্যবহারের ওপর।
এদিকে, টিকিট কাউন্টারের সামনে ইতিমধ্যেই দূরত্ব মেনে দাগ কাটা হয়েছে। সব স্মার্ট গেট না খুলে একটা করে স্মার্ট গেট অপারেট হবে। এছাড়া মাস্ক বা ফেস শিল্ড বাধ্যতামূলক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে প্রতি স্টেশনে। থাকবে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা।
ইতিমধ্যেই স্টেশনের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন। এছাড়া চিকিৎসকদের ব্যবস্থাও রাখা হবে। যদিও রেলমন্ত্রক এখনও মেট্রো চালানো নিয়ে কোনও গাইডলাইন তৈরি করে পাঠায়নি। যতক্ষণ না রেলমন্ত্রক জানাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মাস্টারপ্ল্যান বানানো সম্ভব নয়।
সূত্রের খবর, সোমবার মেট্রো চলাচল নিয়ে রেল ও রাজ্য মধ্যে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতা মেট্রো দেশের মধ্যে একমাত্র যা রেল মন্ত্রকের। দেশের বাকি জায়গায় মেট্রো কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন বিভাগের। তারাও এখনও গাইডলাইন প্রকাশ করেনি।
Be the first to comment