ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই নতুন ঘটনা। চিনা সেনা পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করেছে। দাবি জানালেন অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক নাইনং এরিং। আজ টুইটারে একথা জানান তিনি।
কংগ্রেস বিধায়ক নাইনং টুইটারে লেখেন, “অরুণাচল প্রদেশের সুবনসিরি জেলার পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি । কয়েক মাস আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। চিনকে এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে ।” পাঁচ ভারতীয়র অপহরণের কথা প্রথমে এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জানান । প্রকাশ রিংলিং নামে ওই ব্যক্তির দাদা ও আরও চারজনকে চিনা সেনা অপহরণ করে বলে তিনি অভিযোগ করেন । বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় সেনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি । পাঁচজনকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান তিনি ।
পাশাপাশি অপহৃত পাঁচজনের নামের তালিকাও দিয়ে দেন প্রকাশ । অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন- তনু বকর, প্রসাদ রিংলিং, গাড়ু ডিরি, ডোংতু এবিয়া, টচ সিঙ্গকম । প্রকাশের পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস বিধায়ক । তবে ওই ব্যক্তিদের কখন অপহরণ করা হয়েছে তা জানানো হয়নি ।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ ২১ বছরের এক যুবককে অপহরণ করে চিনা সেনা। সুবনসিরি জেলার ম্যাকমোহন রেখার কাছ থেকে ওই যুবককে অপহরণ করা হয়। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক তখন পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণের অভিযোগ উঠল চিনা সেনার বিরুদ্ধে।
১৫ জুন লাদাখের গালওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় । সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন। অন্যদিকে চিনের ৪০ সেনার মৃত্যু হয়। এরপর দুই দেশ দফায় দফায় বৈঠক করে। প্যাংগং লেকের বহু জায়গা নিজেদের দখলে নেয় ভারতীয় সেনা। পাশাপাশি ফিঙ্গার-২, ফিঙ্গার-৩ এলাকায় চিনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে শক্তি বৃদ্ধি করে ভারত।
যদিও ভারতের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে চিন । কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত নিজের কৌশলগত অবস্থান বজায় রাখে।
Be the first to comment