৩৪ বছর পর শিক্ষানীতিতে বদল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৮৬-এর পর প্রথম শিক্ষানীতিতে এমন বদল আনা হয়েছে। যা নিয়ে আজ রাজ্যপালদের একটি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, শিক্ষানীতি সকলের। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে একদম সামান্য।
NEP ২০২০ নিয়ে আজ রাজ্যপালরা একটি কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের আকাঙ্ক্ষা পূরণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার, স্থানীয় সংস্থা সকলেরই । তবে, সরকারের হস্তক্ষেপও দরকার। কিন্তু সরকারের প্রভাব এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম হওয়া উচিত। যেমন বৈদেশিক নীতি, প্রতিরক্ষা নীতিও দেশের, কোনও সরকারের নয়। তেমনই শিক্ষানীতিও। এটি সকলের। মানুষের কাছে তিনি আবেদন জানান, শিক্ষানীতির সফল রূপায়ণে সকলকে মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই শিক্ষানীতিতে পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমানো হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট বিভাগ বেছে নেওয়ার চাপও বিলুপ্ত করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে পড়াশোনার বদলে শেখার উপর। পড়ুয়াদের চিন্তাভাবনার যাতে বিকাশ ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে প্যাশন, প্র্যাকটিক্যালিটি ও পারফরমেন্সের উপর।
নতুন শিক্ষানীতির নানা দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত শিক্ষক, অভিভাবক, পড়ুয়া এই নীতিতে যুক্ত হবে তত এই নীতি প্রয়োগে সুবিধে হবে।
Be the first to comment