রাষ্ট্রসংঘে সেরার পুরস্কার পেল রাজ্য সরকারের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। শুধু তাই নয়, স্কিল ডেভেলপমেন্টে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলারই ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্প। সারা বিশ্বের ১৬০টি দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে বাংলার দুই প্রকল্প পেল সেরার তকমা। যা রাজ্যের জন্যে রীতিমতো সম্মানের।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে-সব সরকারি প্রকল্প চালু রয়েছে, তার মধ্যে থেকে সেরা প্রকল্পগুলিকে বেছে নিয়ে পুরস্কৃত করে রাষ্ট্রসংঘ। সেটা ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড নামে পরিচিত। এই সম্মান প্রশাসনিক সাফল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান হিসাবে ধরা হয়। স্বভাবতই বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে এই সেরার শিরোপা পাওয়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ১৬০টি দেশের তরফে মোট ১৬০০টি প্রকল্পের মধ্যে প্রতিযোগিতার ভার্চুয়ালি ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানেই সেরার শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলার এই দুই প্রকল্প।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা এ রাজ্যে সাইকেল কারখানা করতে চাই। আমাদের এখানে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে যখন এত বেশি সাইকেল দেওয়া হচ্ছে, তাহলে কেন এখানে সাইকেল কারখানা তৈরি হবে না? এতে তো আমাদের এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই বিষয়টি দেখতে হবে।’ গত বছরও রাষ্ট্রসংঘে পুরস্কার জিতেছিল ‘সবুজ সাথী’।
অপরদিকে, ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। টেলারিং, থেকে ফোন রিপেয়ারিং, টিভি-ফ্রিজ সারানো-সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে ফি-বছর রাজ্যের প্রায় ৬ লক্ষ যুবক-যুবতীকে হাতের কাজ শেখানো হয়। এই কাজের স্বীকৃতি হিসাবেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’। এই প্রকল্পটিও গতবছর রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বিভাগে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। এবার পুনরায় আবার এই দুটি প্রকল্প বিশ্ব দরবারে পুরস্কৃত হওয়ায় নিঃসন্দেহে রাজ্যের কাছে একটি গর্বের মুহূর্ত তৈরি হল।
Be the first to comment