বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর রাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ফের বসলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসের এই কঠিন সময়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। অধীরবাবু ডাকাবুকো নেতা, কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সাংসদ। তাঁর উপর এতটাই ভরসা করে হাইকম্যান্ড যে তাঁকে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতাও করা হয়েছে এর আগে। সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার পর রাজ্য কংগ্রেসে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণ কে করবেন? সেই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান হল। কংগ্রেস দলের কট্টর মমতা বিরোধী অধীর রঞ্জনকেই দায়িত্ব দেওয়া হলো।
বৃহস্পতিবার অধীরবাবু একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে বামফ্রন্টের সাথে জোটের কী হবে? চিরকালই স্পষ্ট বক্তা অধীরবাবু। তিনি জানিয়ে দিলেন, আমি আগেও জোটের পক্ষে ছিলাম, আজও জোটের পক্ষে। বামফ্রন্ট যদি উৎসাহ দেখায় তাহলেই জোট হবে, সোজাসাপ্টা জবাব অধীরের।
এরপর যে প্রশ্নটি আসে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এক মঞ্চে কী দেখা যেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোটকে? তিনটি দলই তো বিজেপি বিরোধী। অধীরবাবু এই প্রশ্নের জবাব সামান্য এড়িয়ে যান। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় সোনিয়া গান্ধী যদি বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান সেক্ষেত্রে কী হবে? উত্তরে অধীরবাবু বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেভাবে বিজেপির বিরোধিতা করেন না। আর যদি সেরকম পরিস্থিতি আসে, হাইকম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে রাজ্যে তাঁর তৃণমূল বিরোধিতা যে জারি থাকবে তা স্পষ্ট করে দেন অধীরবাবু। আর সেক্ষেত্রে দোসর হতে চাইলে বামফ্রন্ট স্বাগত জানান তিনি।
Be the first to comment