নেতৃত্বে দুই মন্ত্রী। রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর হাওড়া ময়দান থেকে দাশনগর পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া জেলার সদরের কো-অর্ডিনেটর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীববাবু রাজ্যের বনমন্ত্রী। এই মিছিলে হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি তথা মন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লাও যোগদান করেন। মিছিলে পা মেলান বেশকিছু বিদায়ী কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ সদস্য এবং হাওড়া জেলার বর্ষীয়ান বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদারও।
কিন্তু হাওড়া সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায়কে তো দেখা গেলো না এই মিছিলে? রাজীববাবুকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন অরূপবাবুকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল না আসলে কী করা যাবে? মানুষ আমাদের পাশে আছেন।
অন্যদিকে এই মিছিলের পাল্টা একটি মিছিলের ডাক দেন হাওড়া সদরের চেয়ারম্যান তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। অরূপ রায়কে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, উনি তো দুদিনের রাজনীতিবিদ। এইভাবে দুজনের ভিতর চাপা অসন্তোষ আবারও প্রকাশ্যে এসে পড়লো।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি বেহালায় একটি মিছিল করলে সুব্রত মুখোপাধ্যায় কি বালিগঞ্জে একটা মিছিল করতে পারেন না?
অরূপ রায়ের মিছিলটি এদিন মন্দিরতলা থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত হয়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলটি আগে ডাকা হয়েছিল। একই ইস্যুতে, একই সময় পাল্টা আরেকটি মিছিল অর্থাৎ একই দিনে জেলার দুই হেভিওয়েট নেতার দুটি মিছিলকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সামনে এসে পড়লো বলেই রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ। কিছুদিন আগেই জেলা সভাপতির পদে রাজীবের কাছের লোক লক্ষীরতন শুক্লাকে সভাপতি করা হয়েছে। তারপর থেকেই অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আজ একই দিনে দুটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সেই মনোমালিন্য আবারও প্রকাশ্যে এসে গেলো।
Be the first to comment