দুর্গাপুজোর গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। আজ সোমবার এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। গাইড লাইনে জানানো হয়েছে যে, দর্শনার্থীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক।
একই সঙ্গে গাইড লাইনে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে মোতায়েন করা হবে পুলিশ এবং ভলেন্টিয়ার। খোলা মেলা প্যান্ডেলে পুজো করতে হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট আলাদা থাকবে।
দেখে নেওয়া যাক, কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে।
১) খোলামেলা বড় প্যান্ডেল করতে হবে, ঢোকা ও বেরোনোর গেট আলাদা রাখতে হবে। প্যান্ডেল খোলামেলা হতে হবে। যদি বাধ্য হয়ে ঢাকা সিলিং করলেই হয়, তবে চার দেওয়াল হবে খোলা। আর যদি দেওয়াল থাকতে হয়, তবে সিলিং খোলা রাখতে হবে। প্যান্ডেলের ভেতরে যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে, যাতে দর্শকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। প্রয়োজনে মেঝেতে দাগ দিয়ে বোঝাতে হবে যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়। কোনওখানেই ভিড় ও জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না।
২) মাস্ক পরেই প্যান্ডেলে আসতে হবে দর্শকদের। যদি কেউ না আসেন, সে জন্য প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষকে মাস্কের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। রাখতে হবে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এছাড়াও কিছু সময় অন্তর অন্তর প্যান্ডেল স্যানিটাইজ করতে হবে, আশপাশের এলাকাও স্যানিটাইজ করতে হবে।
৩) পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন রাখতে হবে প্যান্ডেলে। তাঁদের মাস্ক পরতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভিড় হলে বা কেউ কোনও নিয়ম না মানলে তাঁরা সামাল দেবেন। অঞ্জলি দেওয়া, প্রসাদ বিতরণ, সিঁদুর খেলা– এসব অনুষ্ঠান পরিকল্পিত ভাবে করতে হবে। কোনও ভিড় করা চলবে না। অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনতে হবে, যাতে ফউল সংগ্রহ করতে ভিড় না হয়। পুরোহিত যেন মাইকে মন্ত্র পড়েন, যাতে অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়, কেউ ভিড় না করেন।
৪) পুজোমণ্ডপে বা তার আশপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুমোদিত হবে না।
৫) সেরা পুজো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচারকদের বড় টিম মণ্ডপে এসে ভিড় করতে পারবেন না। বড়জোর দুটো গাড়ির অনুমোদন মিলবে, তাও সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে। বেশিরভাগ খুঁটিয়ে দেখার কাজ ভার্চুয়ালি করতে হবে।
৬) নিজেদের পুজোর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম-নীতিরও প্রচার চালাতে হবে প্রতিটি পুজো কমিটিকে। সোশ্যাল মিডিয়া ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে নিয়মিত চলবে এই প্রচার।
৭) পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জন দুইই করতে হবে ন্যূনতম লোক নিয়ে। উদ্বোধন করতে হবে যতটা সম্ভব ভার্চুয়ালি। বিসর্জনের জন্য কোন ঘাটে কখন কোন পুজোর বিসর্জন তা আগাম পরিকল্পনা করতে হবে প্রশাসনের সঙ্গে ।
৮) পুজো ও তৎসংলগ্ন সমস্ত অনুমোদন অনলাইনে করতে হবে।
৯) ভিড় এড়ানোর জন্য আরও বেশি দিন ধরে খোলা রাখা যেতে পারে প্যান্ডেল। তৃতীয়া থেকেই উদ্বোধন হতে পারে পুজোর।
১০) পুজোর পরে কোনও কার্নিভাল হবে না।
১১) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমস্ত নীতি ও নির্দেশ মেনে চলতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে এবং দর্শকদেরও। যেমন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য কোনও সংস্থা কোনও টাকা নিতে পারবে না। বিদ্যুতের খরচ নিতে হবে ৫০ শতাংশ কম। কোভিড বিধি মেনে চলার খাতে সরকার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে পুজো সফল করতে।
Be the first to comment