শুক্রবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরস। এদিন সকালে হাথরসে আটকানো হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। এরপর একের পর এক ভিডিওতে দেখা যায় সংবাদমাধ্যমকেও ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে সামনে আসা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তায় বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির রয়েছে পুলিশ । এরপর অন্য একটি শর্টকার্ট রাস্তা থেকে এক মহিলা সাংবাদিক ও তাঁর ক্যামেরা প্রতিনিধি নির্যাতিতার বাড়ির দিকে যেতে গেলে তাঁকেও আটকানো হয়।
টিভি চ্যানেলের ওই সংবাদ প্রতিনিধির দাবি শুক্রবার সকাল থেকে তিনি বারবার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। কোন লিখিত অর্ডারের জেরে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে গ্রামের ভেতরে ঢুকে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অধিকার থেকে আটকাচ্ছে তা জানতে চেয়েও সদুত্তর পাননি ওই মহিলা সাংবাদিক।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ওপরওয়ালার’ অর্ডার রয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে কোন ‘ওপরওয়ালা’ সে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়নি পুলিশ। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগীরাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান ওই গ্রামের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এবং বিশেষ দল তদন্ত করছে, তাই ঢোকা যাবে না গ্রামে।
অন্যদিকে সাংবাদিকের প্রশ্ন এক মহিলা সাংবাদিক ও একজন চিত্রপ্রতিনিধি গেলে কি তদন্তের কোন প্রমাণ মিটে যেতে পারে? দুপুর পর্যন্ত পুলিশি বাধায় গ্রামে ঢুকতে না পেরে শেষমেশ পুলিশের ব্যারিকেডের সামনেই ধর্নায় বসে পরেন সাংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে হাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে আটকে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। এরইমধ্যে সেখানকার একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
Be the first to comment