দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও বিভিন্ন মহলের চাপে অবশেষে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্ষিত যুবতীর বাড়ির সামনের ব্যারিকেড তুলল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমকে ৷ সংবাদমাধ্যমের কাছে ধর্ষিতার পরিবার জানালেন, তাঁরা চান তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ৷ একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তৈরি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ করেন তাঁরা ৷ তাঁদের ফোন কেড়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন৷ এমনকী সিবিআই তদন্তও চান না পরিবার ৷ তাঁদের একটাই দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চাই ৷
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাতরস সদরের এসডিএম প্রেম প্রকাশ মীনা ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া সহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পরিবারের যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷’ উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান অজয় লাল্লুর অভিযোগ, তাঁকে পুলিশ হাউস অ্যারেস্ট করে রেখেছে৷ তাঁর কথায়, ‘আমাকে হাউস অ্যারেস্ট করা হয়েছে৷ রাজ্য সরকার কী লুকনোর চেষ্টা করছে? আজ উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের নিরাপত্তা নেই৷ গোটা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই ৷’
শনিবার ফের হাথরসে ধর্ষিতার গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ রাহুলের সঙ্গে থাকবেন ৪০ থেকে ৫০ জন কংগ্রেস সাংসদ ৷ থাকবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও৷ গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ওই গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁদের আটক করে ও এসকর্ট করে দিল্লি পাঠিয়ে দেয় ৷
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। অন্যদিকে হাতরসের গ্রামের তথাকথিত সমাজের উচ্চশ্রেণির সদস্য নিয়ে গঠিত পঞ্চায়েত অভিযুক্ত ধর্ষকদেরই পক্ষে দাঁড়িয়েছে ৷ একই সঙ্গে এই অপরাধের সিবিআই তদন্তেরও দাবি করা হয়েছে ৷
উত্তরপ্রদেশে সরকার ও পুলিশের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও ৷ তিনি উত্তরপ্রদেশ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, হাথরসের ওই গ্রামে সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের ঢুকতে দেওয়া হোক ৷ তাঁদের ধর্ষিত যুবতীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত ৷
Be the first to comment