বাইরে থেকে আসা লরির চাকা থেকে ঝাড়গ্রামে করোনা ছড়াতে পারে: মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

ঝাড়গ্রামে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই করোনা মোকাবিলায় একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ারর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝাড়গ্রামে লাগোয়া রাজ্য ঝাড়খণ্ড৷ সেখান থেকে লরি আসে এই রাজ্যে৷ তাই ঝাড়গ্রামে বিশেষভাবে সাবধানে থাকা দরকার।’

পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লরি চালকদের থেকে যাতে কোনও ভাবে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে৷ প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেন ট্রাক চলাচল না করে৷ প্রয়োজনে টোল প্লাজায় লরির চাকার ফরেন্সিক টেস্ট করতে হবে৷

এছাড়া ঝাড়গ্রামের মানুষকে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, মাস্ক পড়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়মিত করতে হবে। এখানে অনেককেই দেখছি মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের বলছি মাস্ক পরুন। তা না হলে রোগ আটকানো যাবে না। যাঁরা গরীব, টাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে পারছেন না, তাঁদের সবাইকে পুলিশ-প্রশাসন মাস্ক কিনে দেবে। এর জন্য প্রশাসনের কর্তাদের যথাযথ নির্দেশও দেন মমতা।

ঝাড়গ্রামের এদিনের বৈঠক চলাকালীন করোনা ভাইরাসকে বায়ুবাহিত বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা বায়ুবাহিত রোগ। ফলে যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে যায়। তাই ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মাস্ক পড়তে হবে। সাবধানে থাকতে হবে।’

মঙ্গলবার খড়গপুরের প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে শহীদ ক্ষুদিরামের জন্মভিটে রয়েছে৷ ওই জন্মভিটের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করা হবে৷ তার ফলে স্থানীয় ৮,০০০ লোকের চাকরি হবে৷ এছাড়া কর্ণগড় মন্দিরের সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*