মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ‘বিকৃত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ভাবে অভিযোগ দায়ের হল রাজ্য মহিলা কমিশনে। সমাজকর্মী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগপত্রে লিখেছেন, রাজ্যপাল শুধু একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকেই অপমান করেননি, সমগ্র নারী জাতিকে হেয় করেছেন।
তার প্রমাণ হিসেবে ২ অক্টোবরে রাজ্যপালের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আপলোড করা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কিত একটি মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘রাজ্যপাল হিসেবে আমি হটসিটে বসে আছি। আমার কাছে কোনও লাইফলাইন নেই। মহানায়কের কাছে আমার আর্জি, আমি যে মুহূর্তে মমতাজির কাছ থেকে ‘মমতা’ পাব, তখনই যেন লক করা হয়।’ এই মন্তব্য নিয়েই মহিলা কমিশনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন সুস্মিতা।
কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার রাতে বলেন, ‘একটা অভিযোগ জমা পড়েছে। আগে অভিযোগটা দেখি। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ সুস্মিতার দাবি, রাজ্যপাল নারীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। তাঁকে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। একই দিনে আবার যাচাই না করে ধর্ষণ, অপহরণ নিয়ে রাজ্যপাল ‘কাঁচা তথ্য’ তুলে ধরেছেন বলে টুইটে প্রতিবাদ করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর।
তাদের ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকার অপরাধ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বার বার যাচাই করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া’ বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশের জন্য পাঠায়। যখন প্রাথমিক রিপোর্ট আসে তাতে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন–একই ধরনের অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়। ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া সে ভাবে গ্রহণ করে না। অপরাধ নির্দিষ্টকরণে যাচাই করতে হয়। স্টেট ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো তথ্য যাচাই করেই ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোয় পাঠায়। তারাও সেখানে তথ্য পরীক্ষা করে।
তবে রাজ্যপাল বুধবারও টুইট করে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ধর্ষণ, অপহরণ নিয়ে রাজভবনের তথ্যের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্র দপ্তর যা বলছে তা ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং অসম্পূর্ণ।
Be the first to comment