বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। পুজোর মরশুমকেই ‘আউটডোর’ প্রচারের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে ধরতে চাইছে সব পক্ষই। নবান্ন চলো-র পরেই এবার তাই আরও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে বিজেপি। ভোটের মুখেই রাজ্য আসবেন অমিত শাহ। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নরেন্দ্র মোদীকেও অনুরোধ করা হচ্ছে বোধনে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার জন্য।
দলের এক অভিজ্ঞ নেতার কথায়, “আমরা নরেন্দ্র মোদীকে ষষ্ঠীর দিন বাঙালির উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে অনুরোধ করছি কারণ ওই দিনই ভগবান রাম অকালবোধন করেছিলেন দেবী। তারপর গিয়েছিলেন সীতা উদ্ধারে। এছাড়া ষষ্ঠীর অন্য তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনই দেবীকে দৃষ্টিদান করা হয়।
ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযান বিজেপি কর্মীদের অনেকটাই উৎসাহিত করেছে। ফলে নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। মোদীর ভার্চুয়াল সভার পাশাপাশিই তাদের অস্ত্র শাহের ভোকাল টনিক। পুজোর আগেই গেড়ুয়া-গড় উত্তরবঙ্গ (গত কয়েক বছর ধরেই এখানে বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি লক্ষণীয়) সফর করবেন অমিত শাহ। লক্ষ্য একটাই, বুথ ধরে কর্মীদের চাঙ্গা করা। সভা হবে দক্ষিণবঙ্গেও।
আরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। মাস্টার প্ল্যানার শাহ দলের উচ্চতর নেতৃত্বদের সঙ্গে বসে আগামী কয়েক মাসের প্রচারনীতিও স্থির করবেন। ইতিমধ্যেই স্থির হয়েছে এবার আর এনআরসি-ক্যা নয়, বরং তৃণমূলকে বিঁধতে হবে দুর্নীতি অস্ত্রেই। সেই পরিকল্পনাকেই একটা রূপরেখা দেবেন অমিত শাহ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, হ্যাঁ, পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তিনি আগেই আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্বাস্থ্যের কারণে পেরে ওঠেননি। আমাদের কাছে তাঁর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনও দিনক্ষণ স্থির হয়নি। তবে খুব শিগগিরই তারিখ নির্ধারিত হবে।
প্রসঙ্গত করোনা আবহে দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত শুক্রবার রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “করোনার কথা মাথায় রেখে এবার দুর্গাপুজো বন্ধ রাখা উচিত ছিল।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁর দল যদি তাই মনে করে, তবে দুর্গাপুজোকে প্রচারের হাতিয়ারই বা বানাচ্ছে কেন বঙ্গ বিজেপি?
Be the first to comment