“নবান্ন চলো” আন্দোলন চলার সময় তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেছিল আগ্নেয়াস্ত্র ৷ গ্রেপ্তারের মুহূর্তে টানাহেঁচড়া করতে গিয়ে খুলে যায় বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি ৷ যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশ ৷ ক্ষুব্ধ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ টুইট করে বিষয়টি দেখার আবেদন করেছেন ক্রিকেটার হরভজন সিং ৷
এবার বলবিন্দরের কাহিনিতে এল আরও একটি টুইস্ট ৷ জানা গেল, পঞ্জাবের ভাতিণ্ডার বাসিন্দা বলবিন্দর একজন ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো ৷ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেওয়ায় যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ তিনি নাকি কার্গিল যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন ৷
৪৫ বছরের বলবিন্দরের এই বায়োডেটা টুইট করে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, স্পেশাল ফোর্সের (৬ প্যারা) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলবিন্দর ৷ এই স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানদের বায়ো ডেটায় “এক্সেমপ্লেরি” অর্থাৎ দৃষ্টান্তস্বরূপ বলে বর্ণনা করা থাকে ৷ যাঁরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী হন ৷
যার মধ্যে রয়েছে AK-৪৭ এবং ইজ়রায়েলি তেভর অ্যাসল্ট রাইফেল ৷ এছাড়া বহু মিলিটারি অপারেশনে অংশ নিয়েছেন বলবিন্দর ৷ যার মধ্যে রয়েছে অপারেশন বিজয় (কার্গিল যুদ্ধের সরকারি অভিযানের সরকারি নাম) ৷ আদতে ভাতিণ্ডার বাসিন্দা বলবিন্দর মানেসরের NSG ট্রেনিং সেন্টারে কমান্ডো ট্রেনিং নেন ৷
টুইটারে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজয়বর্গীয় লেখেন, পুলিশ শুধু ওই জওয়ানকে টানাহেঁচড়াই করেনি ৷ তাঁর পাগড়ি খুলে অপমানও করেছে ৷ তিনি লেখেন, “সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ান বলবিন্দর সিংকে মারধর করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাঁর পাগড়ি খুলে দেওয়া হয় ৷ উনি একজন দক্ষ জওয়ান যিনি একাধিক মিলিটারি ট্রেনিং কোর্স করেছেন ৷ এরকম একজন সাহসী মানুষের উপর মমতার সরকারের অপমান বেদনাদায়ক ৷ যে পুলিশ এই কাজ করেছে তাকে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন ৷”
এদিকে পুলিশের মতে, বিজেপি নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বলবিন্দর সিং ৷ যুব মোর্চার “নবান্ন চলো” অভিযানের দিন হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বলবিন্দর ও প্রিয়াংগু দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷
Be the first to comment