ওভারলোডিং বন্ধ সহ তিন দফা দাবিতে রাজ্যে সোমবার থেকে ৭২ ঘন্টার ট্রাক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে পণ্য সরবরাহে বড় ব্যাঘাত ঘটবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
এ রাজ্যে কেন্দ্রের মোটর ভেহিকেলস আইন মেনে এক্সেল চালু করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের কাছে দরবার করছিল ট্রাক মালিকদের সংগঠন। পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু কোন ব্যাপারেই সরকারের তরফে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। তাই আগাম ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে তিনদিনের ধর্মঘট শুরু করেছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন।
এমনিতেই বাজারে আলু, পেঁয়াজের দাম চড়া। তার ওপরে তিন দিন ধরে রাজ্যে ট্রাক বন্ধ থাকলে পুজোর আগে বাজারে জিনিসের দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। আজ সকালেও এ নিয়ে বৈঠক করে ট্র্যাক মালিকদের সংগঠন। কিন্তু সরকারকে আগাম জানানো সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ না হওয়ায় ট্রাক ধর্মঘট শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভিন রাজ্য থেকে মাছ-সবজি, ডিম ও ওষুধ সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী আসে ট্রাকে।
কিন্তু এদিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় এইসব ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সংগঠনের হুঁশিয়ারি, এরপরেও সরকারের যদি টনক না নড়ে, সে ক্ষেত্রে পুজোর পরেই রাজ্যে চলা প্রায় সাড়ে ছ’ লক্ষ ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই প্রায় পাঁচ মাস ধরে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ট্রাকের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নেই। এই অবস্থাতেও রাস্তায় গাড়ি বের করলেই পুলিশসহ গুন্ডাদের তোলা দিতে হচ্ছে মালিকদের। যার জেরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
কিন্তু তারপরেও কাজ না হলে পুজোর পরে লাগাতার ধর্মঘটের রাস্তায় হাটার ব্যাপারে এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ট্রাক মালিকরা। কিন্তু পুজোর মুখে তিন দিন ধরে রাজ্যে ট্রাক ধর্মঘট চলতে থাকলে পুজোর বাজারে তার প্রভাব নিয়ে এখন প্রমাদ গুনছে সরকারি আধিকারিক থেকে ব্যবসায়ী সংগঠন গুলির মাথারাও।
Be the first to comment