পাখির চোখ ‘২১’, এবার ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

Spread the love

বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্গাপুজো ঘিরে ফের রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে । গতবছর বিজেপি-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সল্টলেকের একটি পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। আর এবার ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন । এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করতে চাইছে বিজেপি ।

বিজেপি মহিলা মোর্চা ও এর সাংস্কৃতিক শাখার তরফে পুজোর উদ্বোধনের আয়োজন করা হচ্ছে । ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীর দিন ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী । যেখানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হচ্ছে , সেই স্থানটি সম্পূর্ণ দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল ও দুর্গামূর্তি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে । বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র চণ্ডীপাঠ করতে পারেন । তবে তাঁকে যাতে বহিরাগতের তকমা দিয়ে তৃণমূল রাজনীতি না করতে পারে তার জন্য এই পরিকল্পনার পরিবর্তন হতে পারে । কারণ , তৃণমূল বারবার বহিরাগত ইশু নিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করছে । সেক্ষেত্রে তৃণমূলকে কোনও সুযোগ দিতে চাইছে না বিজেপি। তাই স্থানীয় পুরোহিতকে দিয়ে চণ্ডীপাঠ করানো হতে পারে ।

গত বছরও দুর্গাপুজো উদ্বোধনের ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করেছে বিজেপি । তবে তা সফল হয়নি । সেক্ষেত্রে তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুজোয় দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল । বিজেপি-র দাবি , তৃণমূলের তরফে প্যান্ডেলে পরিষেবা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল । যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ।

তবে এই বছর আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি বিজেপি । সূত্রের খবর ্বিজেপি এবার নিজেরাই পুজো করছে। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ জানান , দল সরাসরি দুর্গাপুজোয় অংশ নিচ্ছে না। তবে মহিলা শাখা ও সাংস্কৃতিক শাখা যদি তা করতে চায় , সেক্ষেত্রে তাদের স্বাগত।

গত দশ বছরে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি বিশেষ ছাপ ফেলেছে । এমনকী, অতীতেও কয়েকটি পুজো প্যান্ডেলের দুর্গামূর্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাঁর শাড়ির মাধ্যমে । সেক্ষেত্রে , এবার পুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সেই দশবছরের লাইমলাইট নিজেদের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি । বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে নিজেদের জমি পাকা করতে এটাই অন্যতম সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে । তবে তারা কতটা সফল হবে তা সময়ই বলবে ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*