জেলে যাব, কিন্তু মমতাকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। কলকাতায় এসে একুশের ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ঘোষণা করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা গুরুং। একইসঙ্গে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের বিরুদ্ধে। জানিয়ে দিলেন তিনি এনডিএ-র সঙ্গে নেই। বিজেপি এবং মোদী-শাহ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি রাখতে জানেন। তাই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার পাশে থেকেই লড়তে চান।
বুধবার কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুং বলেন, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে এতদিন বিজেপির সঙ্গে ছিলাম। আমাদের গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যাব। ২০২৪ সালে আমাদের ইস্যুর পাশে যে দল থাকবে আমরা তাদেরই সমর্থন করব। ৬ বছর কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতি রাখেনি বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। কথা দিয়েও কথা রাখেননি কেউই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলি পূরণ করেছিলেন।
আজ তাই আমি বলছি, এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আর একুশের ভোটে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়ব। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাই। তাই আমি ওনাকে আবেদন করব, পাহাড়-ডুয়ার্সের উন্নয়নের জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীর মুখাপেক্ষী। ওনার উপর ভরসা আছে।”
তিনি এদিন বলেছেন, “এখনও তৃণমূল বা মমতার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে এবার কথা বলব। তারপর সাংবাদিকদের সব জানাব। রাজনীতিতে কেউ চিরশত্রু না বা চিরবন্ধু নয়। বিজেপি কথা দিয়ে রাখেনি। ওঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না। এবার একুশের ভোটে বিজেপিকে কড়া জবাব দেব। কিন্তু আমি কোনও অপরাধী নই। তিন বছর ধরে দিল্লিতেই ছিলাম। এই তিন বছরে আমার জীবন দর্শন পাল্টে গিয়েছে।”
এদিন বিমল গুরুংয়ের সাংবাদিক বৈঠকের পর টুইট করে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কি লিখেছেন তিনি?
দেখুন!
Be the first to comment