পাহাড়ের ক্ষমতা দখল করার জন্য ফের একবার নিচে নামলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এই ভাষাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি। ছত্রধর মাহাতো ও কিষেণজির প্রসঙ্গ টেনে অধীর বলেন, ক্ষমতায় আসতে সাহায্য নিয়েছিলেন কিষেণজির। ক্ষমতা পেতেই হত্যা করা হল তাঁকে! আর কত নিচে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এবার জবাব চাইবে বাংলার জনগণ।
দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বিমল গুরুং । তাঁর হদিস পাচ্ছিল না রাজ্যের পুলিশও । এই অবস্থায় সম্প্রতি সরাসরি কলকাতায় পা রেখে NDA থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন গুরুং। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুরুংয়ের এমন একশো আশি ডিগ্রি ভোলবদলের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, বিমল গুরুংয়ের ভোলবদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি।
অধীরের প্রশ্ন, “আমরা জানতে চাই, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করছেন? বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার কারণ কী ? যদি এই সমঝোতা পূর্বপরিকল্পিত হয় তাহলে গত তিন বছর কোথায় ছিলেন বিমল গুরুং? তাহলে কি রাজ্য সরকার বিমল গুরুংয়ের উপর থেকে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে? এমন নোংরা খেলা আর কত খেলবেন মুখ্যমন্ত্রী? তার মুখ বন্ধ কেন? গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে কি তিনি স্বীকৃতি দিচ্ছেন?”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অধীর চৌধুরির আরও কটাক্ষ, “জনসমর্থন যত হারাচ্ছেন ততই তিনি রাজনৈতিকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন।
Be the first to comment