“অভিযান” শেষ, “ঘরে-বাইরে” শোকের ছায়া

Spread the love

দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই! অবশেষে হার মানলেন বাঙালির ফেলুদা। আজ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা বলেছিলেন মিরাকল-ই বাঁচাতে পারে তাঁকে। আশায় বুক বাঁধলেন সকলে, অপু হয়তো ফিরে আসবেন। কিন্তু তা আর হলো না- টিভির পর্দার থেকে বাস্তবটা সত্যিই বড়ই কঠিন।

ঘড়িতে ঠিক বারোটা বেজে পনেরো মিনিট, আস্তে আস্তে সমস্ত ক্রিয়া বন্ধ হলে শরীরের। শেষবারের মতো পড়লো নিঃশ্বাস। এ জগতের মায়া ছেড়ে অনেকদূর পাড়ি দিল আগন্তুক। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্তরের মানুষ ভেঙে পড়েছে শোকে। অনেকে বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁদের প্রিয় অভিনেতা আর নেই। শোক বার্তা জানিয়েছেন সমস্ত কলাকুশলীরা। শিল্পী, সাংস্কৃতিক সাহিত্যিক মানুষ, ক্রীড়া জগতের মানুষ, প্রায় সমস্ত স্তরের মানুষজনই চোখের জলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন অপুকে।

কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কন্যা পৌলমী। তবে কৃষ্ণনগর সোনাপট্টি সাধারণ মানুষ ভাবতেই পারছে না উদয়ন পন্ডিত আর নেই। ছেলেবেলার বন্ধুরা থেকে শুরু করে টলিপাড়া শোকস্তব্ধ সর্বত্রই। কিংবদন্তির মৃত্যুর সংবাদ আসতেই “ঝাপসা চোখে সেই স্মৃতিই” হাতড়াচ্ছেন সবাই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*