একদিনের জেলা সফরে এসে রাজ্য প্রশাসনের উপর আরও একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সাংবাদিক বৈঠকে শুরু থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে একের পর এক অভিযোগ সামনে আনেন তিনি। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির সিকিউরিটি তুলে নেওয়া থেকে শুরু করে নদিয়ার বিজেপি সাংসদকে জঙ্গি হামলায় শহিদের মরদেহে মাল্যদানে বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা করেন।
পাশাপাশি রাজ্যের হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সবশেষে জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার গরহাজির নিয়েও অভিমানের সুর ফুটে ওঠে রাজ্যপালের মুখে। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাওয়ায় তুলে নেওয়া হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির সিকিউরিটি। এবিষয়ে জানতে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। আজ এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির সিকিউরিটি তুলে নেওয়া কোনওভাবেই উচিত হয়নি। এই কাজ অসাংবিধানিক।
একই সঙ্গে নদিয়ার বিজেপি সাংসদকে শহিদ সুবোধ ঘোষের বাড়ি যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, শাসক দলের সাংসদদের ক্ষেত্রে লাল কার্পেট বিছানো হয়। আর বিজেপি সাংসদের ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন তাঁর লক্ষ্য বলেও জানান। রাজ্যে রক্তক্ষয়ী নির্বাচন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রশাসকের উর্দি পরে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদেরকেও সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল। সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, সাংবাদিকদের নির্ভীকভাবে সত্য ঘটনাকে সামনে আনা উচিত।
একদিনের ঝটিকা সফরে বুধবার সস্ত্রীক মুর্শিদাবাদ যান রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সাড়ে এগারোটা নাগাদ হেলিপ্যাডে নেমে সরাসরি চলে যান সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে লালবাগ শহরে ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলি পরিদর্শন করেন।
Be the first to comment