একবালপুরে যুবতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল যুবতির প্রেমিক ও তার স্ত্রীকে । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ব্ল্যাকমেলিং এবং তার বদলা নিতেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ।
সাবা খাতুন ওরফে নয়না নামে ওই যুবতির সঙ্গে শেখ সাজিদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় । বৃহস্পতিবার সাজিদের বাড়িতে আসে সাবা। সেখানে সেই সময় ছিল না সাজিদের বিবি আঞ্জুম বেগম । ঘরে দু’জনে মদ্যপান করে।
প্রাথমিকভাবে জেরায় এমনটাই জানিয়েছে সাজিদ । সাবা কিছুটা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর সাজিদ তার বিবিকে ডেকে আনে। দু’জন মিলে দেহ বস্তাবন্দী করে। রাতের অন্ধকারে ওই দেহ ফেলে দেয় বাড়ির পাশের রাস্তায়। সেই রাতেই দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। একবালপুর থানাকে তদন্ত সহযোগিতা করে লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ।
তদন্তে নেমে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে । তখনই সাবার সঙ্গে সাজিদের ঘনিষ্ঠতার কথা উঠে আসে । কিন্তু পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য যা প্রয়োজন হয় সবকিছুই করছিল সাজিদ। দেহ বস্তাবন্দী করে রাস্তায় ফেলার পর রাত দুটো নাগাদ নিজেই ফোন করে একবালপুর থানায় । কিন্তু সাবা এবং সাজিদের ঘনিষ্ঠতার কথা জানার পর আঞ্জুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে সে কিছুই স্বীকার করতে চায়নি। সাজিদকে চেপে ধরতেই পুরো ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়। জেরায় সাজিদ পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সাবা ব্ল্যাকমেলিং করেছিল। ব্ল্যাকমেলিংয়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে খুনের ছক করে সে । তাকে সাহায্য করে তার বিবি আঞ্জুম।
প্রসঙ্গত, ১৯ নভেম্বর মওলানা মহম্মদ আলি রোডে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার কয়েকজন। সেটির ভিতরে মানুষের পা দেখতে পান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানায়। পুলিশ এসে ব্যাগটি খোলে। ভিতর থেকে পাওয়া যায় যুবতির মৃতদেহ। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। তদন্তকারীরা রাতেই পুলিশ কুকুর এনে এলাকায় তল্লাশি চালায়। এরপর তদন্ত শুরু হলে গ্রেপ্তার হয় দম্পতি ৷
Be the first to comment