পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী হয়ে গেল ২২ নভেম্বর রবিবার। আমাদের সকলেরই মনে আছে এই পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রেই দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের উদ্যোগে। সেই সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছিলেন অসুস্থ। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় থেকে মুকুল রায় সকলেই পুজোর কটা দিন পালা করে আসতেন এখানে। কিন্তু বিজয়া সম্মিলনীর দিন তাঁদের না দেখা গেলেও অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। তাই আসতে পারেনি। বিজেপির পরিবার বড়, মনও বড়। এখানে জায়গা ছোটো হয়ে যাচ্ছে। তাতে অসুবিধা নেই। আগামী বছর বিজয়া সম্মিলনী হবে বড়ো কোনও জায়গায়। হবে বিজয় উৎসবও।
তৃণমূল বহিরাগত ইস্যুর পাল্টা জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার কে? শাহরুখ খান। সৌমিত্র চ্যাটার্জির জন্য এত দুঃখ করলেন, কই তাঁকে তো ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করলেন না। শাহরুখ খান কি বাংলার। গুজরাট মডেলের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বললেন, নিজেদেরকে যাঁরা গান্ধিবাদী বলেন, মনে রাখবেন গান্ধিজিও এসেছিলেন গুজরাট থেকে, মোদিজিও গুজরাট থেকে, অমিতজিও গুজরাট থেকে। আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ শানিয়ে বলেন, আপনারা তো কোভিডের টিকার প্রয়োগ হবে, সেটার নাম পাঠাননি, আয়ুষ্মান নিধি থেকে কৃষি সম্মান নিধি— বাংলার মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নিতে দেন না। পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রকে পাঠান না। আবারও ইঙ্গিত করেন পি কে-এর দিকে। বাঙালির উপর ভরসা নেই, তাই পাশের রাজ্য থেকে লোক ভাড়া করে এনেছেন, ভোট জিতিয়ে দেওয়ার জন্য।
বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাবুল একবার ৩৫৬-র কথা বলল, অর্জুন তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ বিজেপি আসবেন বললেন, তাতেই ভয় পেয়ে গেলেন। আসলে দিদিমণির অবস্থা খারাপ। তাঁর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। পুলিশের উপর তিনি ভরসা করেন। সরকারি বৈঠকের নাম করে তো পার্টির পাবলিসিটি করছেন। কিন্তু জনগণ রেগে আছে। শুধু জনগণ নয়, নেতা-মন্ত্রী, আমলা, আধিকারিক সকলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন, তাঁদের কোমর বেঁকে যাচ্ছে। মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। ২০২১-এ অমিত শাহ আমাদের টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন ২০০-র বেশি আসন। আমরা তা পাবই। আমরা বলেছিলেন, উনিশে হাফ, একুশে সাফ। তা আমরা করে দেখাবোই। সাংবাদিকরা বলছেন, আমাদের নাকি পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রী আছেন। তাহলে তারা মেনে নিচ্ছে বলুন, আমাদের থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবে। এমনকি মন্ত্রিসভার তালিকার কথাও বলছেন। আসলে আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, তাতে সকলেই নিশ্চিত যে আমরা হাসতে হাসতে ২০০ সিট জিতে সরকার গড়ব। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি আমরা মনে করি করব, কেউ আটকাতে পারবে না। মানুষ চায় পরিবর্তন। বিজেপির হাত ধরেই আসবে সেই পরিবর্তন। আমরা সেই সময়ের সাক্ষী হব, পরিবর্তনের কাণ্ডারি হব। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কাজ শুরু করেছিলেন। আমরা শ্যামাপ্রসাদ হতে পারিনি, কিন্তু সবাই মিলে শ্যামাপ্রসাদের কাজ পূর্ণ করব।
Be the first to comment