২৬ তারিখ দেশজুড়ে বনধের ডাক! কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত শ্রম নীতির বিরুদ্ধে এই ধর্মঘট। কিন্তু এই বনধের ইস্যুতে সমর্থন করলেও বনধে সমর্থন করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দোলা সেন সকলকে স্বাভাবিক সচ্ছল থাকতে আবেদন জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী নীতির এবং বিলগ্নীকরণ, বেসরকারিকরণ কর্পোরেটটাইজেসন এর এগুলির মাধ্যমে দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার যে চক্রান্ত, রেল থেকে বিএসএনএল যেভাবে ওনারা বেচে দিচ্ছেন আলু পটলের মত তার বিরুদ্ধে, তার প্রতিবাদে, আমরা সংগ্রামে সামিল আছি।”
তিনি বলেন, “২০১৯ সালে ওরা ৩০৩ সিট পেয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পরেই জুন-জুলাই ২০২১ থেকে আমাদের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও নেতৃত্বে সংসদের ভেতরে ও বাইরে এবং ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, রাস্তা, ঘাটে, মাঠে, ময়দানে, কারখানার গেটে, হেড অফিসের সামনে আমরা মিটিং-মিছিল অনশন অবস্থান ধারাবাহিকভাবে জারি রেখেছি। কিন্তু আমরাই আগের জামানায় সিপিএম আমলে দেখেছি ধর্মঘট করতে করতে আমাদের প্রতিবছর অনেক শ্রমদিবস নষ্ট হত। এখন গত ৯ বছরে আমাদের একদিনও সময় দিবস নষ্ট হয় না। কারণ, শ্রমিক বন্ধুরা পার্টির নীতিকে মান্যতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁরা ধর্মঘট করেন না। তাই আমরা মনে করি এবারে করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির সময় আমাদের ধর্মঘটে যাওয়া উচিত নয়। বরং সব খোলা রেখে সব চালু রেখে চিমনিতে ধোঁয়া উড়িয়ে এবং সব চাকা ঘুরিয়ে বাংলা কে সচল রেখে প্রতিবাদে সামিল হওয়া উচিত। সবাই কালকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং-মিছিলে থাকুন কিন্তু সব কিছু যেন খোলা থাকে এই আবেদন করব।”
Be the first to comment