তারাতলায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি। মাঝেরহাট ব্রিজ চালুর দাবিতে আজ কৈলাস বিজয়বর্গীর নেতৃত্বে মিছিল করার কথাও ছিল। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করতেই পুলিশ বাধা দেয়। প্রায় ২০০-এর বেশি বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের মারে একজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে জানা গিয়েছে।
যদিও মাঝেরহাট ব্রিজ-কাজের গতি নিয়ে রেলের ‘অসহযোগিতা’র দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। প্রথমে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন রেলের অসহযোগিতার জন্যই কাজ শেষ করতে এত সময় লাগছে।এরপর ঘটনাস্থল বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় পৌঁছালে তাঁকেও আটক করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কর্মী-সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ লাঠি চালায়। বিজেপির একজন মহিলা মোর্চার কর্মী গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া যুব মোর্চার পাঁচ জন কর্মীও অসুস্থ। একজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে যার জেরে অনেক বিজেপি কর্মী ও সমর্থক আহত হয়।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে অরূপ বিশ্বাস বলেন, রেলের অসহযেগিতায় ও কোরোনার কারণে ব্রিজের কাজে দেরি হয়েছে। আমি বিজয়বর্গীয়কেও প্রশ্ন করতে চাই বিহারের দুটি নবনির্মিত ব্রিজ এক মাসের মধ্যে কী করে ভেঙে যায়। আসলে বিজপির এই বিক্ষোভ লোক দেখানো।
Be the first to comment