মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে এদিন আলোচনায় বসার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া দফতর নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত ৷ আপাতত দফতরগুলি নিজের হাতেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একইসঙ্গে নন্দীগ্রাম বিধায়কের সঙ্গে দলের সমীকরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেত্রীর ৷
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীসভায় রাজ্য পরিবহণ, সেচ এবং জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু ৷ সেই সমস্ত পদ থেকে এদিন সকালে ইস্তফা দেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা ৷ তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন ৷ একইসঙ্গে এও বলেন আপাতত শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে দেওয়া দায়িত্ব অর্থাৎ পরিবহণ, সেচ এবং জলসম্পদ দফতর নিজের হাতেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও ৷
অন্যদিকে দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেত্রী ৷ এদিন সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবারও নন্দীগ্রাম বিধায়কের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ৷ কিন্তু শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পর কড়া বার্তা দলের তরফে আপাতত কেউ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করবেন না বলেই সূত্রের খবর ৷
দলের সঙ্গে দূরত্ব বেশ কয়েক মাস ধরেই তৈরি হয়েছে ৷ তৃণমূলের তরফে সাংসদ সৌগত রায় দু’বার তার সঙ্গে বৈঠকে বসলেও কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি ৷ সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ বারবার উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সংগঠন নিয়ে তাঁর কিছু দাবি ছিল , তা নিয়ে কোনও সমাধান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তিনি ৷
Be the first to comment