তৃণমূলের শেষের শুরু। আগামী দিনে দলটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। শুক্রবার মন্ত্রীত্ব থেকে শুভেন্দুর পদত্যাগের খবর শুনে এমনই প্রতিক্রিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর ৷
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাপুড়ের মতো বিজেপিকে বাংলায় ডেকে এনেছিলেন। ঠিক যেমন সাপুড়েকে সাপের ছোবলে মরতে হয়, তেমনই তৃণমূলের ললাটে লেখা রয়েছে।
অধীর আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর জনপ্রিয় জননেতা হিসেবে মানুষ যাকে চিনত সে হল শুভেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু তিনি তাঁকে জননেতা না বানিয়ে বিরোধী দল ভাঙানোর নেতা বানিয়েছিলেন৷ যেদিন থেকে তিনি বুঝলেন শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা তার ভাইপোর পথের কাঁটা হতে পারে সেদিন থেকে ডানা ছাঁটা শুরু হল, শুভেন্দুকে সাইড করা শুরু হল ৷
অধীরবাবু এও বলেন, শুভেন্দুর পরিবার ছিল কংগ্রেসি পরিবার ৷ তাকে উসকিয়ে কংগ্রেস দল ভাঙিয়েছে, অকাজ কুকাজ করিয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ দলের অন্দরে সেই প্রতিবাদ সামনে এল ৷ কিন্তু শুধু শুভেন্দু নয়, আরও অনেক ছোট বড় নেতাই এই ক্ষোভে দল ছাড়বেন।
পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ভাঙাগড়ার রাজনীতি এখানে উনিই এনেছিলেন। আগে তৃণমূল বাম, কংগ্রেসের মতো দল থেকে নেতা, কর্মীদের ভাঙাত। এখন নিজের ঘর ভাঙছে। এখন তিনি বুঝছেন ভাঙন কেমন। তবে এসব ভাঙাগড়ার খেলা বিজেপি আর তৃণমূলই খেলুক।
Be the first to comment