শুক্রবার রয় কৃষ্ণার দুরন্ত গোলে আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে এগিয়ে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান ৷ আর মনভিরের গোল সেই স্কোরলাইনকে ২-০ গোল করে দলকে এনে দিল জয় ৷ আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে ২-০ গোলে জিতল এটিকে মোহনবাগান ৷ অন্যদিকে লড়েও হার হজম করলো এসসি ইস্টবেঙ্গল ৷
এদিন গোয়ায় মুখোমুখি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্ট বেঙ্গল ৷ মাঠে লক্ষ ফ্যানেদের উপস্থিতি গর্জন এগুলো কিছুই ছিল না ৷ তবুও করোনা অতিমারির কালে ভারতীয় ফুটবলে এদিন রচিত হল নতুন ইতিহাস ৷
এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দুপক্ষই ৷ প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলেও এদিনের ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন করেছিল মোহনবাগান ৷ রবি ফাউলারের ফুটবল মস্তিষ্ক বনাম অ্যান্তেনিও লোপেজ হাবাসের বুদ্ধির লড়াইতে হাবাস এদিন একটু রক্ষণাত্মক খেলায় জোর দিয়েছিলেন ৷
অন্যদিকে ওপেন আক্রমণে ভরসা ছিল ইস্টবেঙ্গলের ৷ এদিনে ম্যাচের আট মিনিটেই চমৎকার সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যান্থনি পিলিংটন ৷ কিন্তু ভাগ্য সাধ না দেওয়ায় শট নেওয়ার মুহূর্তে পা আটকে যাওয়ায় তিনি অপূর্ব সুযোগকে গোলে কনভার্ট করতে পারেননি ৷
১২ মিনিটে বাগানের প্রথম ফ্রি কিক কার্যকরী হয়নি। এরপর প্রবীর দাসের দুরন্ত ক্রসকে প্রতিহত করেন লাল হলুদ গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার ৷ এটা ছিল এদিনের দেবজিতের দুরন্ত পারফরম্যান্সের ট্রেলর ৷ এরপর তিনি একের পর এক বাগান আক্রমণ প্রতিহত করেন ৷ এদিন প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের পাসিং ফুটবল চাপে রেখেছিল বাগানকে ৷ নিখুঁত পাস ও একাধিক আক্রমণে তারা ছিল দারুণ ৷
কিন্তু এদিন বাগানের রক্ষণ যতটা ভালো তৈরি ছিল তাতে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ মাঝমাঠেই বারেবারে প্রতিহত হয়ে যাচ্ছিল ৷ খেলার ২২ মিনিটে বাগানের হ্যাভিয়ের ফার্নান্ডেজকে ট্যাকেল করার জন্য রেফারি বলবন্তকে হলুদ কার্ড দেখান ৷ এদিন প্রথমার্ধে বাগানের হয়ে একাধিক আক্রমণ তৈরি করে দেন দারুণ ছন্দে থাকা প্রবীর দাস ৷ অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের মশালের জ্যোতি দেখা যাচ্ছিল পিলকিংটনের পায়ে ৷
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ৪৯ মিনিটে ডেডলক সিচুয়েশন ভাঙে মোহনবাগান ৷ হাভি হার্নান্ডেজের বাড়ানো বল লাল হলুদ জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি রয়কৃষ্ণা ৷ তিনি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ৷ বাম পায়ের ইনস্টেপে গোল করে দেন তিনি ৷ ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান ৷ মোহনবাগান ম্যাচে এগিয়ে যাবার পরে খেলায় ঝাঁঝ ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে তারা ৷ তবে বাগান রক্ষণের বুদ্ধিদীপ্ত খেলায় সেভাবে চাপ পড়েনি বাগান গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ওপর ৷ কিন্তু ৮১ মিনিটে অ্যান্থনি পিলিংটনের সুনির্দিষ্ট গোলার মতো শট আটকে দেন অরিন্দম ৷ একদিকে যেখানে এদিন লালগলুদের দেবজিতকে অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল সেখানে মোহনবাগানের অরিন্দম অনেক কম চ্যালেঞ্জে ওপেন হয়েছিলেন ৷
অন্যদিকে আচমকা ওঠা কাউন্টার অ্যাটাকে ৮৫ মিনিটে মনভির দুরন্ত গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ৷ এদিন ৬৪ মিনিটে তাঁকে পরিবর্ত হিসেবে নামিয়েছিলেন বাগান কোচ অ্যান্তোনিও হাবাস ৷ সেই মর্যাদার দাম দেন তিনি ৷
Be the first to comment