গরু ও কয়লা পাচারের মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ। সিবিআই তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ৷ সূত্রের খবর, কয়লা ও গোরু পাচারের কিংপিন নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে একে অপরকে সাহায্য করত।
ইতিমধ্যে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। পাওয়া গিয়েছে প্রশাসন এবং প্রভাবশালী যোগসূত্রের প্রমাণ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছে সিবিআই-এর বিশেষ দল। দিল্লির সেই দলের নেতৃত্বে এই রাজ্যের তিরিশটি জায়গায় একযোগে শুরু হয়েছে তল্লাশি। কলকাতা ছাড়াও আসানসোল, দুর্গাপুর, পুরুলিয়া, রানিগঞ্জে চলছে তল্লাশি।
গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে এর আগে সিবিআই-এর সদর দপ্তরের স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের DIG প্রেম গৌতম সমস্ত তথ্য নিয়ে গিয়েছেন দিল্লিতে। এর আগে কয়লা পাচারের অন্যতম কিংপিন বলে অভিযুক্ত অনুপ মাঝির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় কলকাতার শেক্সপিয়র সরণিসহ আসানসোলে অনুপ মাঝি ওরফে লালার অফিসগুলিতেও। সেখান থেকে বেশকিছু নথি পাওয়া যায়। পাশাপাশি আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু নথি । সেই সূত্রে ৬ কয়লা ব্যবসায়ীকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। আজ লালা ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে ও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে তল্লাশিতে গোরু পাচারকারী বলে অভিযুক্ত এনামূলের সঙ্গে লালার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি সামনে এসেছিল । লালা এনামূলের মাধ্যমেই মুর্শিদাবাদ দিয়ে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার করত বলে জানা গিয়েছে । এনামূলের গোরু পাচারের জন্য ব্যবহৃত গাড়িতেই পাচার হত কয়লা । শেষবার কলকাতা সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লালার বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন । বলেন, “লালার টাকা কোথায় যায় ? লালার সঙ্গে তৃণমূলের কী সম্পর্ক ? সেটা পরিষ্কার করা প্রয়োজন ।”
Be the first to comment