কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক আন্দোলনের ষষ্ঠদিনে বন্ধ করা হল রাজধানীর আরও তিনটি সীমানা। সতর্কতা মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সঙ্গে সংযুক্ত গুরগাঁও এবং ঝাঝর-বাহাদুরগড় বর্ডার। যার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি বর্ডারে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বহু স্তরীয় ব্যারিকেড রয়েছে। এরই সঙ্গে সিঙ্ঘু এবং টিরকি বর্ডারসহ দিল্লির মোট পাঁচটি বর্ডার পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারই কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তবে কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবি কেন্দ্রের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয় ৷ পাশাপাশি আলোচনায় কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। উল্টে তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে এভাবেই চলবে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন নিয়ে কয়েকদিন আগেই “দিল্লি চলো”-র ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। প্রথমে বাধা দিলেও পরে চাপে পড়ে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু, জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের নির্ধারিত স্থানে বিক্ষোভ দেখাতে হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কৃষক সংগঠনগুলি।
Be the first to comment