দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থন জানানোর পর এবার সরাসরি কৃষকদের জন্য পথে নামছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের পাশে থাকতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন অবিলম্বে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবেন তৃণমূল। সেই মতই নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এবার পথে নামতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১০ ডিসেম্বর তিনি নিজেই সেখানে থাকবেন। শুক্রবার দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতা পরমজিত সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দিল্লি হরিয়ানার-সিঙ্ঘু সীমানায় পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ডেরেকের মাধ্যমে ফোনে সরাসরি কথাও বলেছেন মমতা। এদিন আন্দোলনরত কৃষকদের মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত ২০০৬ সালের ৪ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাব্বিশ দিনের অনশন শুরু হয়েছিল। এদিন তৃণমূল ভবনে কৃষি আইন প্রসঙ্গে মোদী সরকার বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার।নয়া কৃষি আইন পুঁজিপতিদের স্বার্থেই করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।
তিনি বলেন, রাজ্যকে না জানিয়ে সব আইন কেন্দ্রীয় সরকার কুক্ষিগত কররা চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন রাষ্ট্রবিরোধী ও অসাংবিধানিক। সর্বশক্তি দিয়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদ করা হবে।’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘সমস্যা দেখা দিলে মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে কৃষকদের অভইযোগ দাখিল করতে হবে। কিন্তু কাজ ফেলে কৃষকরা যাবেন কিভাবে?
Be the first to comment