কৃষক আন্দোলনের পাশে আছি, থাকব। বনধকে নৈতিক সমর্থন করছি। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসভার মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার শুরুতেই তাঁর বার্তা, তৃণমূল অতীতকে ভোলে না ৷ নবান্নের ধান ছুঁয়ে মমতার শপথ, নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর-নেতাইয়ের কথা আমি ভুলিনি ৷
এতদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বনধের বিরোধী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ডাকা বনধের সমর্থন জানান তিনি ৷
এদিনের জনসভা মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
দেখে নিন এক নজরে!
আমরা অতীতকে ভুলি না।
যখন ছত্রধর আমার ব্লক তৃণমূল সভাপতি তখন মাওবাদী তকমা দিয়ে ওকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
আমরা কৃষকদের পাশে ছিলাম আছি থাকবো।
আমি সিঙ্গুর ভুলিনি, নন্দিগ্রাম ভুলিনি, নেতাই ভুলিনি।
বন্ধের সমর্থন আমরা করিনি। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করি।
আলু পেয়াজের দাম বেড়েছে.. সব কেন্দ্র নিয়ে নিয়েছে।
চাষীদের যখন সমস্যায় পড়ত তখন রাজ্য সাহায্য করত। আলু পেঁয়াজ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছে।
টাকা ছড়াচ্ছ, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে- সিপিএম , কংগ্রেস, বিজেপি।
যত কৃষি বিল প্রত্যাহার করো নয় বিজেপি ভারত ছাড়ো।
যেকোনো সময় রেল হয়ে যাবে সেল।
প্রতিরক্ষা, কোল ইণ্ডিয়া বেসরকারী করণ করে দেবে বলছে।
ব্যাঙ্ক, প্লেন, প্রতিরক্ষা, রেল বিক্রি.. তাহলে থাকবে টা কি?
তিন ভাই এক হয়েছে বাংলায়।
সিপিএমে নামে একটা দল যারা কঙ্কাল কাণ্ড করেছিলো, নেতাই করেছিলো কেশপুর।
CPM রক্ষক।
বিজেপি ভক্ষক।
বহিরাগতদের নিয়ে এসে বাংলা দখল করতে চাও। দেব না দেব না।
মা বোনেরা হাতা খুন্তি নিয়ে দাড়াব।
প্রত্যেক ব্লকে বহিরাগতদের ওপর নজর রাখার নির্দেশ বুথ কর্মীদের।
মাটিতে যদি পেরেক পুততে যায় হবে, পাথরে পুততে গেলে পেরেক ভেঙে যাবে।
তৃণমূলকে কেনা যায় না,যাবে না।
PM care এর টাকার হিসাব দাও..
আমাকে গুলি করে মারা হলেও বলা হবে করোনায় মারা গেছি..
মিথ্যের বোঝা,,,, কারুর দয়ায় আসিনি, লড়াই করে এসেছি..
চমকাইতলায় বন্ধুক নিয়ে তাড়া করেছিলেন, নন্দিগ্রাম, কেশপুর, নেতাই- জঙ্গলমহল অশান্ত করে দিয়েছিলেন।
ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর কেউ ভয়ে আসতে পারতো না
তৃণমূল তৈরির সময় অখিল গিরি লড়াই করেছিলো।
বিজেপি, বিজেপির বন্ধুদের বলছি আগুন নিয়ে খেলবেন না।
তৃণমূল মানুষকে আলিঙ্গন করে আছে।
আমরা যত করি তত কুটসা রটানো হয়, গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা কিছু হলে দুর্নীতি বলে চেচাচ্ছো।
কত মানুষের করোনা হয়েছে।
আম্ফানে হিসাব চাইছে.. টাকা দিয়েছো! টাকা দেব আমরা হিসাব চাইছে ওরা।
জেলে থাকা বেশি পছন্দ করবো, কিন্তু বন্ধুত্ব করবো না।
এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
CAA, NRC নিয়ে কি করেছো
গুজরাট দিয়ে বাংলা হবে না।
বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না।
লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা দিচ্ছে নিয়ে নেবে.. ভোটটা দেবেন না।
বিজেপি তোমাদের টাকা আছে, গুণ্ডা আছে..পুলিশদের ভয় দেখাও.. তোমাদের বহিরাগত লোক আছে.. তৃণমূল এর মতো কর্মী নেই।
লড়াই করেছিলাম তাজপুরে ডিপ সি পোর্ট এর জন্য… এবার আমরা করছি.. খড়্গপুরে ইউনিট.. ১৫হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, ২৫ হাজার কর্মসংস্থান. ইস্পাত রপ্তানি হবে, সিফুড আমদানি হবে।
ফ্রেড করিডর করা হচ্ছে।
ছোটো ছোটো ইসু আছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলছে.. জানাবেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রেশান ফ্রি তে দেওয়া হবে।
বাইরে যাওয়ার দরকার নেই.. এখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে।
চুরি করে চুর করার রাখার জ্যায়গা হয়েছে বিজেপি।
দেখুন কিভাবে দল ভাঙছে.. সরকার ভাঙছে, ২০২১ আমাদের, বাংলার.. শপথ।
জনগন আছে সঙ্গে তাই ২০২১ এ তৃণমুল আসছে বঙ্গে।
Be the first to comment