চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মিলি আল আমিন কলেজের থেকে তাঁকে বদলি করা হয়েছিল রামমোহন কলেজে। আর সেই প্রতিবাদেই সরাসরি ইস্তফা দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ইস্তফাপত্র গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। ইস্তফাপত্রের কপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী এবং উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছেও।
তবে কেন এই সিদ্ধান্ত? বৈশাখী বলেন, যেভাবে আমাকে গত দুই বছর ধরে হেনস্থা করা হয়েছে, তখন আমাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ভাবতাম আমর প্রাণহানির আশঙ্কা বা অন্যান্য সমস্যার কথা ভেবে আমাকে বদলি করা হচ্ছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী যাঁর সঙ্গে শিক্ষা দফতরের সম্পর্ক নেই তিনি বললেন উখারকে ফেক দো আর আমার ট্রান্সফার অর্ডার চলে এল।
বৈশাখী আরও বলেন, এই চাকরি পয়সার জন্য কেউ করতে আসে না, আসে সম্মানের জন্য। নেতামন্ত্রীরা যদি এই ভাবে আমার ছবিটা ম্লান করে দিতে থাকে শুধু মিলি আল আমিন নয়, কোনও কলেজেই সম্মানের সঙ্গে করতে পারব না।
কিন্তু কেন আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন না তিনি? বৈশাখীর কথায়, “সাতটি আইনি লড়াই লড়ে জিতে এসেছি। আমার হেনস্থা কমেনি। কারণ শত্রুপক্ষ সমকক্ষ নয়। সম্মান চলে গিয়েছে, শুধু পয়সার জন্য চাকরি আঁকড়ে পড়ে থাকতে চাই না।
প্রশ্ন হচ্ছে, বৈশাখীর এই ইস্তফাপত্র কি গ্রহণ করা হবে? নিয়ম বলছে, ইস্তফা এই রকম ভাবে দেওয়া যায় না। তার কারণ যেহেতু তাঁকে বদলি করা হয়েছে রামমোহন কলেজে, তাই রামমোহন কলেজ কাজে যোগ দিতে হবে। তারপরে সেখানকার পরিচালন সমিতির কাছে ইস্তফা দিতে হবে অর্থাৎ ইস্তফা দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট প্রটোকল রয়েছে, সেই প্রটোকলের বাইরে গিয়ে ইস্তফা না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ঘটনার সূত্রপাত ৩ ডিসেম্বর। ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভাব্যতার অভিযোগে সরব বৈশাখী শোভন-সঙ্গে গিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। সেখানেই যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বদলি করা হয়। বৈশাখী তখন বলেন তিনি রাজরোষে পড়েছেন। যদিও ইস্তফা দিতে পারেন এমন ইঙ্গিত তিনি দেননি।
Be the first to comment