গণতান্ত্রিক উপায়ে জিততে না পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনও করতে পারে বিজেপি। রবিবার ভাঙড়ের বোদরা কালিতলাতে রাস্তার উদ্বোধন এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷
এদিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, মমতা যদি আমেরিকাও যায়, সেখানেও পায়ে একটা হাওয়াই চপ্পল আর পরনে তাঁতের শাড়ি থাকে। সংসার করল না। মানুষের জন্য একটা জীবন দিয়ে দিল। তারপরও তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ ও ব্যতিব্যস্ত করতে দিল্লি সরকার ও বিজেপি দল উঠেপড়ে লেগেছে। আমি অবাক হব না, যদি কোনওদিন শুনি ওরা যদি গণতান্ত্রিকভাবে না পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করেছে।”প্রসঙ্গত, কিছু্দিন আগে দলীয় বৈঠকে নিজের মৃত্যুর কথা তুলেছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিমান করে বলেছিলেন, কেউ কেউ তাঁর জায়গাটা নিতে চাইছে। তাঁর মৃত্যু কামনা করছে।
ডায়মন্ডহারবারের সভায় যাওয়ার সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়েও এদিন গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ওদের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মিটিং করতে এসেছিলেন এই জেলাতে। তাঁর সহকর্মীদের গাড়ির কাঁচ ভাঙে। কীভাবে কাঁচ ভেঙেছে, কে ভেঙেছে তার তদন্ত করা হোক। আমরা সরকারে আছি। আমরা তদন্ত করে দেখলাম ওরা এই গণ্ডগোল না করলে প্রচার পাবে না। তাই নিজেরা লোক ফিট করে এসব করেছে। ওরা বাইরে থেকে লোক নিয়েছে এসে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করছে। ওদের একটাই চেষ্টা মমতাকে সরানো। মমতা বাংলার মা। মাকে সরানো যায় না।
সুব্রতর চ্যালেঞ্জ, তদন্ত হোক, আমার কথা অসত্য হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আর যদি ওরা অসত্য হয় তাহলে নাক খত দিক।
মমতাকে খুন করার প্রসঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “বিজেপির নামে এসব কথা বলার আগে জানা দরকার যে এই দল খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। খুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেসই।
Be the first to comment