দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আগেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আর এবার দাদার অনুগামী সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই বিধায়কের পদ ছাড়তে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ কাঁথির বাসভবন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার দেখা গেছে। তার নিচে লেখা- “আমরা দাদার অনুগামী”। তিনিও দলের পতাকা ছাড়াই একাধিক জায়গায় সভা করেছেন। এমনকি, নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে সকালে তিনি সভা করার পর বিকেলে তৃণমূলের তরফে পৃথক সভা করা হয়। “খেজুরি দিবস” উপলক্ষ্যে খেজুরিতে অরাজনৈতিক ব্যানারে মিছিল করেন তিনি। ক্ষোভের বরফ গলাতে শুভেন্দুর সঙ্গে বারবার বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়।
এরপর ১ ডিসেম্বর রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পর ইতিবাচক বার্তা পেয়েছিল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পরের দিন দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। মূল মধ্যস্থতাকারী সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল। আর এই ঘটনার পর রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়ে রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টরের পদ থেকে সরানো হয় শুভেন্দুকে।
এখনও পর্যন্ত বিধায়কের পদে বহাল রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে যে কোনও মুহূর্তেই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। আর এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়ে তিনি আজ কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, আজই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন । তবে আজই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন কি না এখনও পর্যন্ত পরিস্কার কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তাঁকে নিয়ে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে।
Be the first to comment