সকাল থেকেই ফিরহাদ হাকিমকে লেখা জিতেন্দ্র তেওয়ারির একটি চিঠি ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। অন্যদিকে মঙ্গলবার কলকাতায় বৈঠকে যাবেন বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার আগে আজ বিকেলে কুলটির ডিসেরগড় মহা শ্মশানে একটি বৈদুতিন চুল্লির উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে তাঁর গলায় দেখা যায় গেরুয়া নামাবলি।
আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ তাঁর অনুগামীদের গলায় গেরুয়া নামাবলি দেখা যায়। শ্মশানঘাটে বৈদুতিন চুল্লির উদ্বোধন, তাই নামাবলি দিয়ে অতিথি বরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর ভাষণে বলেন, এটা ঠিক, যখন আসানসোলে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কলকাতায় গুটিকয়েক মানুষ আছেন যাঁরা এটা ভালো চোখে দেখেন না। কলকাতা এগিয়ে গেলে আমরা খুশি হই, কিন্তু আসানসোল এগিয়ে গেলে কলকাতার কিছু লোক আছে যাঁরা দুঃখ করে, দুঃখ পান। তাঁদের বলব দুঃখ করে ঘরে থাকুন। দুটো রুটি বেশি খান, কিন্তু আসানসোল এগিয়ে যাবেই।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, আসানসোলের মানুষের আশা পূরণ করার জন্য যদি চেয়ার ছাড়তে হয় তবে তা ছাড়তে রাজি আছি। কলকাতায় বসে যদি কেউ ভাবেন তোমাকে চেয়ার দিয়েছি, সিকিউরিটি দিয়েছি, গাড়ি দিয়েছি, কিন্তু আসানসোলের কথা তুমি বলতে পারবে না ৷ কলকাতার সঙ্গে তুমি কম্পিটিশন করতে পারবে না। তাহলে বলব এরকম চেয়ার, গাড়ি, সিকিউরিটি কোনও কিছুরই দরকার নেই। আসানসোল আমার প্রাণকেন্দ্র। এখানকার মাটি আমার নিজের মাটি। এখানকার মানুষ যা চাইবে সেই কাজই আমরা করবো।
Be the first to comment