জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলবারের সভা থেকে মিলল গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে স্পষ্ট বার্তা। জলপাইগুড়ির এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সেই গোর্খাল্যান্ড কিংবা বিমল গুরুং প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন, তা আঁচ করতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রত্যাশিত মতই তা হল। তবে বিমলকে মমতা দিলেন প্রচ্ছন্ন বার্তা। শুরু থেকেই বিজেপিকে এদিন নানা ইস্যুতে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভার বক্তৃতার কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উঠে আসে গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, যেই নির্বাচন আসে একটা করে গোর্খাল্যান্ড দেয়, ক’টা গোর্খাল্যান্ড হয়েছে? এই ইস্যুকে নিয়েই যে এবারও বিজেপি ঘুঁটি সাজাতে পারে, তা আগেই আভাস দিয়ে দেন মমতা। বলেন, ওরা ‘১৪-য় বলেছে একটা জিতেছে, ১৮য় বলেছে একটা জিতেছে। আমি কিন্তু জিতি নাই। আমি বলি নাই, তাই জিতি নাই অর্থাৎ গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি তিনি যে এবারও দেবেন না, তা প্রচ্ছন্নভাবে বুঝিয়ে দিলেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
সোমবার জলপাইগুড়ির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুরুংকে নিয়ে ৬টা বছর বসেছিল বিজেপি। প্রতিশ্রুতি একটা ভাঁওতা। কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখেনি ওরা। মানুষ এখন সেই ভাঁওতা বুঝে গিয়েছে। একুশের নির্বাচনের আগে মমতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন গুরঙ, তবে গুরুং পাশে থাকলেও, তাঁর গোর্খাল্যান্ডের দাবি যে মেনে নেওয়া হবে না, তাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন তিনি।
গত নির্বাচনে দলের খারাপ ফল নিয়ে এদিন আক্ষেপের সুর ধরা পড়ে তাঁর গলায়। মমতা বলেন, কী অন্যায় করেছিলাম আমরা, একটাই সিট পাইনি। আমি বলি নাই, তাই জিতি নাই। এক্ষেত্রেও সেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি যে তিনি মানবেন না, তা বুঝিয়ে দেন বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এবারের নির্বাচনের আগেও গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে মমতা যে নিজের অবস্থানে অনড়, তাও বুঝিয়ে দেন এদিন।
Be the first to comment